তুরস্ক ও সিরিয়ায় প্রথম ভূমিকম্পের পর এখন পর্যন্ত ছোট–বড় দেড় হাজারের বেশি কম্পন অনুভূত হয়েছে। রিখটার স্কেলে এগুলোর মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৫ থেকে ৬ দশমিক ৮ পর্যন্ত। এ অবস্থায় স্থানীয় বাসিন্দারা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। বাড়িতে ফিরতে ভয় পাচ্ছেন অনেকে।
ভয়াবহ এই ভূমিকম্পের পর যারা প্রাণে বেঁচে গেছেন তাদের ভয় এখনো কাটেনি। আফটার শকের কারণে দাঁড়িয়ে থাকা অবশিষ্ট দালানগুলোতে ফিরে যেতে সাহস পাচ্ছেন না তারা। বিশেষ করে বয়স্ক ও শিশুদের নিয়ে দুই-তিন তলা ভবনে ফিরতে চাচ্ছেন না। ক্যাফে, লাইব্রেরি ও ক্লাবগুলোতে ঠাই নিচ্ছেন ক্ষতিগ্রস্তরা।
তুরস্কের ক্যাফে মালিক লাল লালিস বলেন, ‘সবাই মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন। আমার এই জায়গাটাকে (ক্যাফে) তারা নিরাপদ ভাবছে। আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করছি, তাদের অন্তত গরম খাবার আর রাত কাটানোর জন্য জায়গা করে দিতে।’
তুরস্কের এক বাসিন্দা বলেন, ‘ওই মুহূর্তের কথা কোনোভাবেই মাথা থেকে সরাতে পারছি না। আমি জানি না এখন কী করব।’
ভূমিকম্পের আঘাত থেকে বেঁচে যাওয়া স্থাপনাগুলোর বেশিরভাগই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
আফ/দীপ্ত সংবাদ