গেলো দেড় বছরে টাকা মান কমেছে ৩০ শতাংশের মতো। যার ফলে বেড়েছে যাপিত জীবনের ব্যয়। আইএমএফ জানিয়েছে, চলমান উচ্চ মূল্যস্ফীতির অর্ধেকই হয়েছে টাকার অবমূল্যায়নের কারণে। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, টাকার মান ধরে না রাখলে, বাড়বে মূল্যস্ফীতি।
মিরপুরের বাসিন্দা জামানুল হাসান কাজ করে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। মুখের মলিনতা জানান দেয় ,যাপিত জীবনের ব্যয় ভাবিয়ে তুলছে তাকে প্রতিনিয়ত। ছয়জনের পরিবারের তিনিই একমাত্র উপার্জনকারী। বছর ব্যবধানে ব্যয় বেড়েছে কয়েকগুন। খরচের হিসাব মেলাতে পারছেন না কিছুতেই।
মধ্যবিত্তদের অংকের হিসাব যখন নতুন সমীকরণে, তখন নিম্নআয়ের মানুষের অবস্থা আরো বেগতিক। সকাল থেকে দুপুর অবদি রিক্সাচালক আবুল হোসেনে আয় মাত্র ২শ টাকা।
প্রায় দেড় বছর ধরে ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমছে। ৮৫ টাকার ডলার এখন বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১১ টাকায়। অর্থাৎ টাকা তার মূল্য হারিয়েছে ৩০ শতাংশ। যার অর্থ দাড়ায় যে পণ্য আগে ১শ টাকায় কিনতে পাওয়া যেতো, তা কিনতে লাগে ১৩০ টাকা। আইএমএফের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, মূল্যস্ফিতির অর্ধেকাংশের জন্যই দায়ি টাকার অবমূল্যায়ন।
ডলারের বিপরীতে টাকার বড় ধরনের অমূল্যায়নের কারণে মূল্যস্ফীতির উপর বড় চাপ সৃষ্টি হয়েছে। অর্থনীতিবিদ মুস্তাফিজুর রহমান মনে করেন, আধুনিক মুদ্রানিতীতে দিয়ে টাকার মান ধরে রাখা জরুরি।
খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার রয়েছে এখনো ডাবল ডিজিটেই ৯.৪২ শতাংশ, যা ১২ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
আরও পড়ুন: উচ্চমূল্যে স্থির বেশিরভাগ পণ্য
আল/ দীপ্ত সংবাদ