কুষ্টিয়া পৌরসভার ১৫৩ বছরের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো চুরির ঘটনা ঘটেছে। মেয়রের অফিস কক্ষের তালা ভেঙে শিক্ষাবৃত্তির টাকা, ক্যামেরা, ইলেকট্রনিক ডিভাইসসহ গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র চুরি হয়েছে বলে পৌর জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। রবিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে বিষয়টি জানাজানি হয়।
জানা গেছে, রবিবার সকালে অফিসের কর্মচারীরা মেয়রের অফিস রুমের তালা ভাঙা দেখতে পান। তারা ভেতরে ঢুকে কিছু কাগজপত্র এলোমেলো দেখতে পেয়ে মেয়রকে খবর দেন।
দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে মেয়র অনোয়ার আলী বলেন, ‘সকালে জানতে পারি, আমার অফিস রুমের তালা ভেঙে চুরি হয়েছে। এ রকম চুরির ঘটনা পৌরসভার ১৫৩ বছরের ইতিহাসে প্রথম। এতে আমরা অর্থনৈতিকভাবে খুব একটা ক্ষতিগ্রস্ত না হলেও মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি।‘
তিনি আরও বলেন, এটি খুবই দুঃখজনক ঘটনা। কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছেন তা জানি না। তবে যারাই এ ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হোসেন খান বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনায় জড়িতদের শনাক্তের এবং তাদের ধরতে সব ধরনের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মেয়রের কার্যালয়ের বারান্দায় টেন্ডার বক্সে কুষ্টিয়া পৌরসভার ১০টি হাট–বাজার ইজারার দরপত্র ছিনতাই এবং এক ঠিকাদার টেন্ডার বক্সে দরপত্র ফেলতে গেলে পুলিশের সামনেই ছাত্রলীগের সাবেক এক নেতার হাতে হামলার শিকার হন। এই নিয়ে দেশজুড়ে আলোচনা–সমালোচনার সৃষ্টি হয়। এ পরিস্থিতিতে মেয়রের অফিস কক্ষে চুরির সঙ্গে ওই ঘটনার কোনো যোগসূত্র আছে কি না তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
আফ/দীপ্ত সংবাদ