‘বিগত ৫৩ বছরের ইতিহাসে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল সরকারে গেছে যারা জনগণের জন্য কাজ করার পরিবর্তে দেশে লুটপাটের মাফিয়াতন্ত্র কায়েম করেছিল। গণঅভ্যুত্থানের পর নতুন বাংলাদেশে আপনারা খোঁজ করবেন কোন দল মানবিকভাবে আপনাদের জন্য কাজ করছে। এটি খুঁজে বের করা কঠিন বিষয় না। জনগণের স্বার্থে, দেশের স্বার্থে ভালো রাজনৈতিক দলকে আপনাদের খুঁজে বের করতে হবে। ফ্যাসিবাদী সরকার দুর্নীতি, লুটপাট ও অর্থ পাচার করে দেশের অর্থ ব্যবস্থা ধ্বংস করে ফেলেছে। এখন সময় এসেছে, দুর্নীতি বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিন।’
বুধবার (১২ মার্চ) আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি) উদ্যোগে চলমান গণ–ইফতার কার্যক্রমের ১১তম দিনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন অধ্যাপক ড. একেএম ওয়ারেসুল করিম।
এবি পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান লে. কর্নেল (অব.) হেলাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলতাফ হোসাইনের সঞ্চালনায় গণ–ইফতারে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ উর্দু স্পিকিং রাইটস মুভমেন্টের প্রেসিডেন্ট ওয়াসি আহমেদ ওয়াসি, সাধারণ সম্পাদক খালেদ হাসান, এবি পার্টির নেতাদের মধ্যে অধ্যাপক আবু হেলাল, বোরহান উদ্দিন রাব্বানী, আশরাফুল আলম মোল্লা ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রপক্ষের আহ্বায়ক রাফিউর রহমান।
ড. ওয়ারেসুল করিম বলেন, এবি পার্টিকে দেখছেন অনেক কষ্ট করে আপনাদের জন্য গণ–ইফতারের আয়োজন করছে। যারা ব্যাংকের টাকা লুটপাট করবে না, চাঁদাবাজি করবে না, টেন্ডারবাজি করবে না, এমন দলকে আপনারা ক্ষমতায় নিয়ে আসবেন, এবি পার্টিই হচ্ছে সেই রকম একটা দল যাদের দিয়ে আগামীর নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ হবে।
ওয়াসি আহমেদ ওয়াসি বলেন, বাংলাদেশে অনেক সরকার আসছে কিন্তু আমাদের কোনো সরকারই মানবিক মর্যাদা দেয়নি, আমাদের অবহেলা করেছে প্রতিটি সরকার। খালেদ হাসান বলেন, আমাদের ইতিহাস ৫৩ বছরের লাঞ্ছনার ইতিহাস, আমাদের কোনো অধিকার ছিল না, আমাদের আদালতের মাধ্যমে নাগরিক অধিকার নিতে হয়েছে। আমাদের জন্মও এখানে অথচ আমাদের সাথে কী অবিচারই না করা হয়েছে। আমাদের যাবতীয় নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত করা হয়েছিল, অথচ মানুষের জন্মের কারো হাত থাকে না।
গণ–ইফতার অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন এবি পার্টির নেতা আবদুল্লাহ আল মামুন রানা, এবিএম খালিদ হাসান , সেলিম খান, ছাত্রপক্ষের মুহাম্মদ প্রিন্স, শাহজাহান বেপারি, আব্দুল হালিম খোকন, বারকাজ নাসির আহমাদ, তোফাজ্জল হোসেন রমিজ, আমানুল্লাহ সরকার রাসেল, _শাহিনুর আক্তার শিলা, আব্দুল হালিম নান্নু, শরন চৌধুরী, মশিউর রহমান মিলু, আবু বক্কর সিদ্দিক ও রিপন মাহমুদ, আজাদুল ইসলাম আজাদ, পল্টন থানার মুন্সি আব্দুল কাদের, যাত্রাবাড়ী থানার আরিফ সুলতানসহ কেন্দ্রীয়, মহানগরী, যুবপার্টি ও ছাত্রপক্ষের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।