শনিবার, নভেম্বর ২৩, ২০২৪
শনিবার, নভেম্বর ২৩, ২০২৪

দীর্ঘ ৬ বছর পর ঈদের আগেই উন্মুক্ত হচ্ছে রাণীনগর-আবাদপুকুর সড়ক

Avatar photoদীপ্ত নিউজ ডেস্ক

নওগাঁ সড়ক বিভাগ ও স্থানীয় সাংসদের অনেক চেষ্টার পর দীর্ঘ প্রায় ৬বছর পর নতুন করে কাজের দরপত্র আহবানের মাধ্যমে ঠিকাদার নিযুক্ত করার পর থেকে শুরু হয়েছে এই কাজ। ইতিমধ্যেই পুরো সড়কের প্রায় ৮০শতাংশ পাকাকরণের কাজ শেষ হয়েছে।

দ্রুত এগিয়ে চলেছে নওগাঁর রাণীনগর হয়ে নাটোর জেলার কালীগঞ্জ যাওয়ার ২২কিলোমিটার সড়কের পাকাকরণের কাজ। সড়কের কাজ সম্পন্ন হলে নওগাঁসহ বগুড়া, নাটোরসহ কয়েকটি জেলার লাখ লাখ মানুষ নওগাঁসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে খুব সহজেই চলাচল করতে পারবে। বিশেষ করে ধান অধ্যুষিত অঞ্চলের হাজার হাজার কৃষকরা বেশি উপকৃত হবেন।

নওগাঁ সড়ক বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গত ২০১৮ সালের শেষের দিকে সড়কটি আরো প্রশস্তকরণ, টিকসই ও মজবুতকরণের জন্য নতুন করে পাকাকরণের টেন্ডার দেয়া হয়। এতে ২২কিলোমিটার সড়ক, ২৯টি সেতুকালভার্ট নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছিল ১০৫কোটি টাকা। ওই বছরই সড়কের সমস্ত কার্পেটিং তুলে কোন রকমে রোলার দিয়ে ফেলে রাখে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার। এছাড়া সেতুকালভার্ট নির্মাণের কাজ অব্যাহত থাকে। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ে কাজ না করে বার বার সময় চেয়ে আবেদন করতে থাকে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।

অতিরিক্ত সময়েও ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কাজ শেষ না করায় গত ২০২১ সালের মে মাসে কাজের চুক্তিপত্র বাতিল করে ৪কোটি টাকা আর্থিক জরিমানা করা হয় ওই ঠিকাদারের। এরপর নতুন করে আবারো টেন্ডার দেয়া হলে টেন্ডারের বিরুদ্ধে মামলা করেন আগের ঠিকাদার। ফলে আবারো কাজ আটকে যায়। এতে করে নতুন দীর্ঘ ভোগান্তিতে পরে এলাকার লাখ লাখ মানুষ।

একপর্যায়ে সড়ক বিভাগ ও স্থানীয় সাংসদের জোরালো তৎপড়তার কারণে ২০২১ সালের নভেম্বর মাসে মামলা নিষ্পত্তি হলে আবারো টেন্ডারের প্রক্রিয়া শুরু হয়। গত বছরের ১০আগষ্ট মাসে ২২কিলোমিটার রাস্তা পাকাকরণের জন্য ৩৮কোটি ৩৪লক্ষ ২০হাজার ৫শত ৮১টাকা ৮৩ পয়সা ব্যয় ধরে টেন্ডার অন্তে নতুন কার্যাদেশ জারি করার মাধ্যমে নতুন ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান হিসেবে এম এ জাহের লিমিটেড এই কাজ সম্পন্ন করার দায়িত্ব পায়।

ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান এমএ জাহের লিমিটেডের মুখপাত্র ও সাইড ইনচার্জ মো: সাইফুল ইসলাম বলেন দীর্ঘ দুর্ভোগ থেকে এই অঞ্চলের লাখ লাখ মানুষকে মুক্ত করতে আমরা দিনরাত কঠোর পরিশ্রম করে কাজকে এগিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছি। আমরা আশাবাদি আসন্ন ঈদুল ফিতরের আগে উপজেলা বাসস্ট্যান্ড থেকে আবাদপুকুর পর্যন্ত ১৪কিমি রাস্তার পাকাকরণ কাজ শেষ করতে পারবো। আর ঈদের পর আবাদপুকুর থেকে কালীগঞ্জ পর্যন্ত কাজ শুরু করা হবে। আমরা সড়ক বিভাগের সার্বিক পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে সিডিউল মোতাবেক কাজ করছি।

অনু/দীপ্ত সংবাদ

আরও পড়ুন

সম্পাদক: এস এম আকাশ

অনুসরণ করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন

স্বত্ব © ২০২৩ কাজী মিডিয়া লিমিটেড

Designed and Developed by Nusratech Pte Ltd.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More