দিনাজপুর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষায় ফলাফল প্রকাশ করেছে।
এ বছর এসএসসি পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়লেও কমেছে পাশের হার। সেইসাথে কমেছে জিপিএ–৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যাও।
বেশিরভাগ শিক্ষক রাজনীতির সাথে সরাসরি যুক্ত হওয়ার কারণে নিয়মিত ক্লাসে যান না এবং শিক্ষক রা পাঠদানের মনোযোগী না হওয়ার কারণেই এ বছর দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের ফলাফল বিপর্যয় হয়েছে বলে মনে করছেন শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষ।
চলতি বছরে দিনাজপুর বোর্ডে পাশ করেছে ৭৬ দশমিক ৮৭ভাগ শিক্ষার্থী। ২০২২ সালে এই হার ছিলো ৮১ দশমিক ১৬ ভাগ। চলতি বছরে জিপিএ–৫ পেয়েছে ১৭ হাজার ৪১০ জন। গত বছর পেয়েছিল ২৫ হাজার ৫৮৬ জন।
এ বছর দিনাজপুর বোর্ডের অধীনে আটটি জেলার ২ হাজার ৭০৪ টি বিদ্যালয়ের মোট ২ লাখ ২ হাজার ৪৬২ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন ১ লক্ষ ৯৯ হাজার ৪৯১ জন। পাশ করেছে ১ লাখ ৫৩ হাজার ৩৪৯ জন।
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড দিনাজপুরের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মোঃ তোফাজ্জুর রহমান স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই তথ্য জানা গেছে।
দিনাজপুর বোর্ডের প্রেরিত তথ্যমতে, ছাত্রদের তুলনায় ছাত্রীদের পাশের হার বেশী। চলতি বছরে ৮০ দশমিক ২২ ভাগ ছাত্রী পাশ করেছে। আর জিপিএ–৫ পেয়েছে ৮ হাজার ৮৮২ জন। অন্যদিকে ছাত্রদের পাশের হার ৭৩ দশমিক ৬১ ভাগ। জিপিএ–৫ পেয়েছে ৮ হাজার ৫২৮ জন। দিনাজপুর বোর্ডে এবছর শতভাগ পাশকৃত বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৮০টি।
এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ২ হাজার ৯৭১ জন। অসতাপায় অবলম্বন করায় ৭৬ জন পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছিল।
আর একজন শিক্ষার্থী নিয়ে শুন্য পাশের হার একমাত্র বিদ্যালয় কুড়িগ্রাম জেলার সদর উপজেলার পূর্ব কুমারপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়।
আনুষ্ঠানিকভাবে সাংবাদিকদের সামনে পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করার সময় উপস্থিত ছিলেন উপ পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক হারুন অর রশিদ মন্ডল, সহকারি পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক রেজাউল করিম চৌধুরী, হিসাব রক্ষক কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন ১ ও সহকারী হিসেবে রক্ষক কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন ২।
বোর্ডসূত্রে পাওয়া তথ্যমতে, দিনাজপুর বোর্ডের অধীনে রংপুর জেলায় মোট ৩৬ হাজার ৫৮০ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে পাশ করেছে ২৯ হাজার ৬৮৪ জন। জিপিএ–৫ ৪০৮০ জন। পাশের হার ৮১ দশমিক ০৫ ভাগ। গাইবান্ধা জেলায় মোট ২৭ হাজার ৬১৬ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে পাশ করেছে ২২ হাজার ৪৬৬ জন। জিপিএ–৫ ২৫৩১ জন। পাশের হার ৮১ দশমিক ২২ ভাগ। নীলফামারী জেলায় মোট ২৩ হাজার ২০৭ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে পাশ করেছে ১৬ হাজার ৬০৬ জন। জিপিএ–৫ ১৬৭৪ জন। পাশের হার ৭১ দশমিক ৫৬ ভাগ। কুড়িগ্রাম জেলায় মোট ২২ হাজার ৪৩৯ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে পাশ করেছে ১৬ হাজার ৪৯০ জন। জিপিএ–৫ ১৫৭৭ জন। পাশের হার ৭৩ দশমিক ৪৯ ভাগ। লালমনিরহাট জেলায় মোট ১৬হাজার ৪৮২জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে পাশ করেছে ১১ হাজার ৮৫৪ জন। জিপিএ–৫ ৬৯৭ জন। পাশের হার ৭১ দশমিক ৮৭ ভাগ। দিনাজপুর জেলায় মোট ৩৯ হাজার ৫৮০ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে পাশ করেছে ৩১ হাজার ১৫৩ জন। জিপিএ–৫ ৪২৫৬ জন। পাশের হার ৭৮ দশমিক ৭১ ভাগ। ঠাকুরগাঁও জেলায় মোট ১৮ হাজার ৯৩২ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে পাশ করেছে ১৪ হাজার ১১৭ জন। জিপিএ–৫ ১৭৯৭ জন। পাশের হার ৭৪ দশমিক ৯৬ ভাগ। পঞ্চগড় জেলায় মোট ১৪ হাজার ৬১০ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে পাশ করেছে ১০ হাজার ৯৫০ জন। জিপিএ–৫ ৭৯৮ জন। পাশের হার ৭৪ দশমিক ৯৫ ভাগ।
শায়লা/ দীপ্ত নিউজ