দিনাজপুরের বিরলে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে অনৈতিক কর্মকান্ডের অভিযোগ ওঠেছে জগতপুর পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ কনস্টেবল সোহেল রানার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় তাকে সাময়িক বরখাস্ত ও বিভাগীয় তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানা যায়।
মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) বিকাল ৪ টার দিকে বিরল থানার ওসি গোলাম মাওলা শাহ পুলিশ কনস্টেবল সোহেল রানাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত ও বিভাগীয় তদন্তর করা হচ্ছে বলেও তিনি নিশ্চিত করেছেন ।
অফিসার ইনচার্জ আরও বলেন, এ ঘটনায় পুলিশ কনস্টেবল সোহেল রানার বিরুদ্ধে নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে। বিষয়টি বিভাগীয় তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ইতিমধ্যে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে সোহেল রানাকে সাময়িব বরখাস্ত করা হয়েছে।
এদিকে, দিনাজপুর পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহমেদ এই ঘটনার সত্যাতা স্বীকার করে বলেন, পুলিশ কনস্টেবল সোহেল রানাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। ঐ নারীর সাথে পুলিশ কনষ্টেবলের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠেছিল। স্বামীর কাছে ঐ নারীর পরকিয়া প্রেমের সর্ম্পক ফাঁস হয়ে যাওয়ায় বিয়ের দাবীতে পুলিশ ফাঁড়িতে ঐ নারী আসলে পুলিশ সদস্য পালিয়ে যায়। সেই পুলিশ সদস্যকে খোজ নেওয়ার জন্য তার গ্রামের বাড়ীতে খবর পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ সদস্যের এমন অনৈতিক কর্মকান্ডে বিষয়টি নিয়ে এলাকায় বেশ চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন ভূক্তভোগীর স্বজনসহ এলাকাবাসী।
জানা যায়, বিরল উপজেলার জগতপুর পুলিশ ফাঁড়ির কনস্টেবল সোহেল রানা স্থানীয় এক গৃহবধুকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করে। যদিও পুলিশ সদস্য বিবাহিত ছিলেন। কিন্তু স্ত্রী তার সাথে না থাকায় পরকিয়া প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে পুলিশ সদস্য।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, দুই সন্তানের জননী ঐ নারী একটি মাদ্রাসায় রান্নার কাজ করতেন। পাশেই পুলিশ ফাঁড়ির কনস্টেবল চাকরি সুবাদে সোহেল রানা ওই এলাকায় থাকাকালীন তাদের মধ্যে পরিচয় হয়। পরিচয়ের একপর্যায়ে তাদের মধ্যে সখ্যতা তৈরি হয়। ওই কনস্টেবল বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে প্রায় এক বছর ধরে তার সঙ্গে দৈহিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন। একাধিকবার তাকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে সে পাশ কাটিয়ে যায়। গত শনিবার রাতে ওই নারী ফাঁড়িতে গিয়ে তাকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে কনস্টেবল সোহেল রানা তাকে আঘাত করে আহত করে কৌশলে পালিয়ে যায়। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে সেই রাতেই ওই নারীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
মোরশেদ আলম/দীপ্ত নিউজ