২০২৪–২৫ অর্থবছরে ল্যাপটপ আমদানিতে শুল্ক বাড়ানো হলেও মূল্য সংযোজন কর (মূসক/ভ্যাট) প্রত্যাহার করা হয়েছে। ফলে কমবে ল্যাপটপের দাম।
বর্তমানে ল্যাপটপ আমদানিতে আমদানিকারকদের ৫ শতাংশ শুল্কসহ মোট ৩১ শতাংশ শুল্ক কর দিতে হয়। তবে আগামী অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটে শুল্ক ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করার পাশাপাশি ভ্যাট অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২৪–২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।
অর্থমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ স্লোগান বাস্তবায়নের উদ্দেশে ল্যাপটপ পণ্যটি দেশীয় ভোক্তাদের নিকট সহজলভ্য করতে এবং নকল বা রিফারবিশড ল্যাপটপ ক্রয়ের মাধ্যমে প্রতারণার হাত থেকে ক্রেতাদের রক্ষা করতে ল্যাপটপ এর আমদানি শুল্ক ৫ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি করে ১০ শতাংশ করার প্রস্তাব করছি। একইসঙ্গে আমদানি পর্যায়ে আরোপিত মূসক প্রত্যাহারের সুপারিশ করছি। এতে সর্বমোট করভার ৩১ শতাংশ হতে কমে ২০ দশমিক ৫০ শতাংশ এ গিয়ে দাঁড়াবে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, কম্পিউটার ও কম্পিউটার সামগ্রী আমদানির জন্য বিদ্যমান প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী যে কোনো আমদানিকারক কোনো শর্ত ছাড়াই শুধুমাত্র ৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক প্রদান করে সকল ধরনের কম্পিউটার ও প্রিন্টার এর যন্ত্রাংশ ইত্যাদি আমদানি করতে পারে যা প্রকৃত কম্পিউটার সামগ্রী উৎপাদকগণের জন্য অসুবিধাজনক। বর্ণিত অবস্থায়, এ প্রজ্ঞাপনে অন্তর্ভূক্ত কতিপয় পণ্যকে প্রজ্ঞাপনটি থেকে প্রত্যাহার করার প্রস্তাব করছি।
এ পদক্ষেপের লক্ষ্য স্থানীয় ফ্রিল্যান্সার ও সফটওয়্যার তৈরি করা প্রতিষ্ঠানগুলোকে সহায়তা করা বলেও জানান তিনি।
সুপ্তি/ দীপ্ত সংবাদ