দক্ষিণ আফ্রিকার প্রি–স্টেট প্রদেশের বুসাবেলোতে সন্ত্রাসীদের গুলিতে রিগান ইসলাম (৩৫) নামের এক বাংলাদেশী যুবক নিহত হয়েছেন। বাংলাদেশ সময় সোমবার (২৬ জুন) রাত ৮টার দিকে বুসাবেলো এলাকায় নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত রিগান ইসলাম নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার বাটইয়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড পশ্চিম শ্রীনদ্দি গ্রামের শেখ উলাল মিয়ার বাড়ির তাজুল ইসলামের ছেলে। দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে বড় ছিলেন রিগান। তাঁর তিন বছর বয়সী রোহান নামের এক ছেলে সন্তান রয়েছে।
নিহতের ছোট ভাই ফাহিম মাহমুদ জানান, পরিবারের বড় ছেলে হওয়ার সুবাদে জীবিকার তাগিদে প্রায় ১৫ বছর আগে আফ্রিকায় পাড়ি জমান বড় ভাই রিগান। সেখানে নিজের একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালু করেন তিনি। সবশেষ ২০২১ সালে দেশে আসার পর প্রায় ৫মাস ছুঁটি কাটিয়ে পুনঃরায় আফ্রিকা চলে যান। বাংলাদেশ সময় সোমবার রাতে গাড়িযোগে দোকানের জন্য মালামাল নিয়ে দোকানের সামনে আসেন তিনি। গাড়ি থেকে নামার সাথে সাথে আগ থেকে ওঁত পেতে সন্ত্রাসীরা রিগান ভাইকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ছুঁড়তে থাকে। সন্ত্রাসীদের ছোঁড়া ৩টি গুলি রিগানের মাথায় ও ৩টি গুলি শরীরের বিভিন্ন স্থানে লেগেছিলো। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি।
নিহতের পরিবারের আরেক সদস্য মো. শিপন বলেন, ‘রবিবার রাত ১১টার দিকে রিগানের চাচা মোবাইলে রিগানের মৃত্যুর বিষয়টি আমাদের জানান। রিগানের চাচা, ফুফাতো ভাই সহ আত্মীয়–স্বজনদের অনেকেই আফ্রিকায় থাকেন। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী দুই মাস পর দেশে আসার কথা ছিলো রিগানের। দেশে আসার পর ছোট ভাই ফাহিমকে আফ্রিকা নেওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু হঠাৎ একটি নির্মম হত্যাকাণ্ড সবকিছু শেষ করে দিল।‘
বাটইয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন শাহীন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘ঘটনাটি শুনার পর স্থানীয় ইউপি সদস্যের মাধ্যমে পরিবারটির খোঁজ খবর নেওয়া হয়েছে। আমরা পরিবারটির সহযোগিতায় তাদের পাশে আছি।‘
এদিকে পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ছেলেকে হারিয়ে পাগল প্রায় বাবা–মা। বিয়ের মাত্র কয়েক বছরের মধ্যে স্বামীকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন রিগানের স্ত্রী সাথী আক্তার।
নিহতের মৃতদেহ দ্রুত দেশে আনতে সরকারের সহযোগিতা কামনা করেছেন পরিবারের সদস্যরা।
এ.এস.এম.নাসিম/আফ/দীপ্ত নিউজ