অনেকেই আমরা তিসি বীজের নাম শুনেছি। অনেকে আবার তোকমা বীজের সঙ্গে তিসি বীজকে মিলিয়ে ফেলে তবে তোকমা ও তিসি সম্পূর্ন আলাদা জিনিস। তিসি বলতে তেল হিসেবেই জানে অনেকে। কিন্তু তিসির বীজ চুল ও ত্বকের জন্য কতটা উপকারি, তিসির বীজের জেল দিলে কি হয়, সে সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানি না।
তিসির জেল মুখের বলিরেখা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। এটি চুল পড়া রোধ করে। এছাড়াও তিসি ত্বককে মসৃণ রাখতে সাহায্য করে এবং বার্ধক্যের হাত থেকেও রক্ষা করে থাকে। এটি ব্রণ থেকে শুরু করে যেকোনো চর্মরোগ প্রতিরোধ করে থাকে। এটি খুশকি দূর করে ও মাথার ত্বকের ময়শ্চারাইজার হিসেবে খুব ভালো কাজ করে।
তিসিবীজ থেকে তৈরি জেল বানানোর প্রক্রিয়া–
একটি পরিষ্কার পাত্রে ২ কাপ পরিমাণ পানি নিয়ে তাতে হাফ কাপ পরিমাণ তিসির বীজ নিন। আপনার চুলের ঘনত্ব এবং লম্বা অনুযায়ী পানি এবং তিসি বীজের পরিমাণ বাড়িয়ে বা কমিয়ে নিতে পারেন।
মিশ্রণটি মিডিয়াম আচে চার থেকে পাঁচ মিনিট রান্না করুন। এবং মাঝে মাঝে একটু করে নাড়তে থাকুন যেন তিসি বীজ পাত্রের গায়ে লেগে না যায়। ৪–৫ মিনিট পর তিসি থেকে আঠালো পদার্থ পানির সাথে মিক্স হতে শুরু করবে। ভালোভাবে বলক উঠে গেলে চুলা বন্ধ করে মিশ্রণ টি ঠান্ডা হবার জন্য রেখে দিন। সাথে মিক্স হতে শুরু করবে। ভালোভাবে বলক উঠে গেলে চুলা বন্ধ করে মিশ্রণ টি ঠান্ডা হবার জন্য রেখে দিন। ঠান্ডা হবার পর একটি পরিষ্কার কটন কাপড় দিয়ে মিশ্রণটি ছেঁকে নিতে হবে।
ছেঁকে নেয়া মিশ্রণটি চাইলে আপনি এভাবেই ব্যবহার করতে পারেন বা এছাড়া এই মিশ্রণটির সাথে অ্যালোভেরা জেল মিক্স করে ব্যবহার করা যাবে এতে করে চুলে কোন ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন থাকলে তা দূর হবে।
ব্যবহারবিধি–
এই মিশ্রণটি পরিষ্কার চুলে লাগানো উচিত। অপরিষ্কার বা তেল যুক্ত চুলে স্কাল্পের উপর আস্তরণ থাকায় প্যাকটি বিশেষ কোনো উপকার হবে না।
ব্যবহারের পূর্বে চুল কে দুইভাগে বিভক্ত করে ছেঁকে নেয়া মিশ্রণটি হাতের সাহায্যে সেকশন বাই সেকশন করে স্কাল্পসহ পুরো চুলে লাগিয়ে নিন। ১–২ ঘন্টা অপেক্ষা করুন। এরপর সাধারণ পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। শ্যাম্পু বা কন্ডিশনার ব্যবহার করবার প্রয়োজন নেই। তাও যদি কেউ ব্যবহার করতে চান সেক্ষেত্রে ওইদিন ই করতে পারেন। অথবা একদিন পর করলে আরো বেশি উপকার পাবেন।
যূথী/ দীপ্ত সংবাদ