তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ৫ হাজার ছাড়িয়েছে। এরমধ্যে তুরস্কে প্রাণ হারিয়েছেন ৩ হাজার ৪৩২ জন; আর সিরিয়াতে ১ হাজার ৬০২ জন। আহতের সংখ্যা হাজার হাজার। নিখোঁজ রয়েছেন অনেকে। চলছে উদ্ধার অভিযান। দেশ দুটির পাশে দাঁড়ানোর ঘোষাণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্য-রাশিয়া-চীনসহ অনেক দেশ।
তুরস্কের গাজিয়ানতেপ প্রদেশের চারদিকে শুধুই ধ্বংসস্তূপ। ভেঙে পড়া ঘরবাড়ি ও স্থাপনার নিচে চাপা পড়ে আছেন অনেকে। প্রিয়জনদের খুঁজছেন অসংখ্য মানুষ। হাসপাতালগুোলোতে চলছে আহতদের আহাজারি।
সোমবার (৬ ফেব্রুরায়ি) ভোর থেকে টানা উদ্ধার কাজ চলছে। ইস্তানবুল থেকে যোগ দিয়েছেন ১৩ হাজার দুর্যোগব্যবস্থাপনা কর্মী। তবে, বৃষ্টি ও তুষারপাতের কারণে উদ্ধারকাজ ব্যাহত হচ্ছে।
সড়কের পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বেশ কয়েকটি বিমানবন্দর। বন্ধ হয়ে গেছে উড়োজাহাজ ওঠানামার কাজ। এই অবস্থায় সহজে ত্রাণ সহায়তা পাঠানো যাচ্ছে না বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
আহতদের চিকিৎসা নিয়ে বেকায়দায় পড়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। রোগীর চাপ সামলাতে পারছে না অনেক প্রতিষ্ঠান। আহতদের সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপতালগুলো।
১০টি শহরে স্কুলের শিক্ষাকার্যক্রম এক সপ্তাহের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
এদিকে হতাতের ঘটনায় ৭ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।
ভয়াবহ এই বিপর্যয়ে বিভিন্ন দেশ সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছে বলে জানিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েফ এরদোয়ান। এরইমধ্যে কয়েকটি দেশের ত্রাণ সেখানে পৌঁছেছে।
সিরিয়ার অবস্থাও অনেকটা একইরকম। হতাহতদের উদ্ধারে চলছে টানা অভিযান। বিধ্বস্ত ঘরবাড়ি ও স্থাপনার নিচে অনেকে চাপা পড়ে আছেন।
তুরস্কের মতোই ভেঙে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। বিদ্যুৎহীন অবস্থায় রয়েছে বহু এলাকা। খোলা আকাশের নিচে দিন কাটাচ্ছেন অনেক বাসিন্দা।
স্থানীয় সময় সোমবার ভোর সোয়া ৪টার দিকে তুরস্কে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। এর পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় ছোট-বড় শতাধিক কম্পন (আফটার শক) হয়েছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা- ইউএসজিএস। এসব ভূমিকম্পনের ঢেউ লেগেছে সিরিয়া, লেবানন, মিশর, সাইপ্রাস ও ইসরাইলে।