আর মাত্র কিছু সময়। দীর্ঘ ৮ বছর পর শুরু হতে যাচ্ছে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির নবম আসর। তবে এবারের টুর্নামেন্টের সবচেয়ে বড় মাহাত্ম্য—এর আয়োজক পাকিস্তান! শেষবার ১৯৯৬ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপে ভারত ও শ্রীলঙ্কার সঙ্গে সহ–আয়োজক ছিল দেশটি। কিন্তু ২০০৯ সালে শ্রীলঙ্কা দলের ওপর সন্ত্রাসী হামলার পর পাকিস্তান হারায় আইসিসির ইভেন্ট আয়োজনের সুযোগ। সেই দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে এবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ফিরছে পাকিস্তানের মাটিতে।
লাহোর, করাচি ও রাওয়ালপিন্ডি—এই তিন ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ম্যাচগুলো। এর মধ্যে লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়াম সবচেয়ে আলোচিত—একদিকে ২০০৯ সালের দুঃসহ স্মৃতি, অন্যদিকে পাকিস্তানের ক্রিকেট ঐতিহ্যের প্রতীক হয়ে থাকা এই স্টেডিয়ামকে ঘিরে আলাদা উত্তেজনা থাকছে ক্রিকেটপ্রেমীদের মাঝে।
যদিও আসরটির আয়োজক পাকিস্তান, তবে সম্পূর্ণ আয়োজন দেশটিতে বসছে না। ভারতের আপত্তির মুখে আইসিসির অনুরোধে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) হাইব্রিড মডেল গ্রহণ করতে বাধ্য হয়েছে। যার ফলে ভারতের ম্যাচগুলো হবে দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে। অর্থাৎ, পাকিস্তানের মাটিতে সরাসরি ভারত–পাকিস্তান ম্যাচ দেখার স্বপ্ন অধরাই থাকছে স্বাগতিক দর্শকদের জন্য।
র্যাঙ্কিংয়ের সেরা ৮ দলের লড়াই হলেও এবারের আসরে থাকছেন না বেশ কিছু বড় তারকা। অস্ট্রেলিয়া পাচ্ছে না তাদের ভয়ঙ্কর পেস ত্রয়ী। ভারত দলে নেই বর্ষসেরা ক্রিকেটার জসপ্রীত বুমরাহ। বাংলাদেশের জন্য বড় ধাক্কা—দলে নেই দীর্ঘদিন ওয়ানডে অলরাউন্ডার র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে থাকা সাকিব আল হাসান। তবে সম্প্রতি সবচেয়ে বেশি বয়সে অলরাউন্ডার র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষস্থান দখল করা মোহাম্মদ নবী থাকছেন আফগানিস্তান শিবিরে।
পাকিস্তান দলে বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ানরা থাকলেও, শুধু আয়োজনে সফল হলেই চলবে না—আসল পরীক্ষা হবে ২২ গজে। প্রথম ম্যাচেই স্বাগতিকদের মুখোমুখি নিউজিল্যান্ড। অথচ, প্রস্তুতির অংশ হিসেবে সদ্য শেষ হওয়া ত্রিদেশীয় সিরিজে ব্ল্যাক ক্যাপদের কাছেই নাস্তানাবুদ হয়েছে পাকিস্তান।
অর্থাৎ, আয়োজনে প্রত্যাবর্তনের গল্প জমজমাট হলেও মাঠের লড়াইয়ে স্বাগতিকদের জন্য চ্যালেঞ্জও কম নয়!