গত কয়েকদিন ধরে কনকনে ঠাণ্ডা আর হিমেল হাওয়ার সঙ্গে এবার যুক্ত হয়েছে বৃষ্টি। গত রাত থেকে দেশের বিভিন্ন জেলায় গুড়ি গুড়ি ও মুশলধারে বৃষ্টি হয়েছে। তাপমাত্রা ১০ এর নীচে নামায়, কয়েক জেলায় স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে এরপরই সূর্যের দেখা মিলেছে।
একদিকে মাঘের হাড়হাপানো শীত, অন্যদিকে বৃষ্টি। এ অবস্থায় নাকাল চুয়াডাঙ্গার জনজীবন। বুধবার (১৭ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১১টার দিকে গুড়িগুড়ি বৃষ্টি শুরু হয়। বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) ভোর পৌনে ৬টা থেকে সকাল ৮টা ১০ মিনিট পর্যন্ত, জেলায় ১৯ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড হয়েছে। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ।
এদিকে, বিভ্রান্তিতে পড়েছেন চুয়াডাঙ্গার শিক্ষক ও অভিভাবকরা। তীব্র শীতে স্কুল বন্ধের সিদ্ধান্ত এলেও, পুরোদম চলছে ক্লাস।
আরও পড়ুন: দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রায় কাঁপছে দিনাজপুর
কুড়িগ্রামের উপর দিয়ে মৃদু শৈত্য প্রবাহ বয়ে যাওয়ায়, পরবর্তী নিদেশ না দেয়া পর্যন্ত জেলার সকল মাধ্যমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। অন্যান্য দিনের মতো বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় স্কুলগুলোতে যথারীতি ক্লাস শুরু হলেও, পৌনে ১১টার দিকে চিঠি পেয়ে, স্কুল বন্ধ ঘোষণা করে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
উত্তরের হিমেল হাওয়া ও কুয়াশার সাথে, ভোরে রাজশাহীর দুই এক জায়গায় গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হয়েছে।
কুষ্টিয়ায় সকাল সাড়ে ৬টা থেকে ৭টা পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন এলাকায় গুড়িগুড়ি বৃষ্টি হয়। সকালে বৃষ্টি হয়েছে ঝিনাইদহ ও মাগুরাতেও।
দিনাজপুরে বৃহস্পতিবার দেশের সর্বনিম্ম তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। জেলায় বৃষ্টি না হলেও, বৃষ্টির মতো ঝড়েছে কুয়াশা।
সকাল থেকে খুলনায় গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিতে শীতের তীব্রতা আরো বেড়েছে। বেলা বারোটা পর্যন্ত দেখা মেলে নি সূর্যের।
এদিকে, দক্ষিণের জেলা পিরোজপুরে তীব্র শীতে দুপুর ১২ টা থেকে শুরু হয়েছে থেমে থেমে গুড়িগুড়ি বৃষ্টি।
বরিশালে কনকনে শীত ও বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত জনজীবন। বন্ধ রাখা হয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল।
আরও পড়ুন: ৬ জেলায় তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে
এসএ/দীপ্ত নিউজ