অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করতে গিয়ে ফেনীর পরশুরামে তিন পুলিশ সদস্যের ওপর হামলার ঘটনায় ফারুক মজুমদার (৬৫) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে ফুলগাজীর খেজুরিয়া এলাকা থেকে পুলিশের বিশেষ অভিযানে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ফারুক মজুমদার পরশুরাম পৌরসভার দক্ষিণ কোলাপাড়া এলাকার মৃত মাদু মিয়া মজুমদারের ছেলে। তিনি পরশুরাম উপজেলা বনবিভাগে ওয়াচার পদে কর্মরত রয়েছেন।
পুলিশ সূত্র জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পরশুরাম থানা পুলিশের উপপরিদর্শক মো. মোস্তফার নেতৃত্বে ফুলগাজীর খেজুরিয়া গ্রামে বেলাল মেম্বার বাড়ির দেলোয়ার হোসেনের বসতঘরে অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় সেই বাড়িতে লুকিয়ে থাকা ফারুক মজুমদারকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এর আগে, ১৪ নভেম্বর দক্ষিণ কোলাপাড়া গুনাগাজী মজুমদার বাড়ির নাসির উদ্দিনের স্ত্রী শেফালি আক্তার পারিবারিক বিরোধ ও মারধরের অভিযোগ তুলে তার প্রতিবেশী বনবিভাগের উপজেলা রেঞ্জ অফিসে কর্মরত ফারুক মিয়া, তার ছেলে যুবদল নেতা রাজিব মজুমদার ও পৌর ৫ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সদস্য সচিব এমাম হোসেন ফয়সালের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন। এ বিষয়ে তদন্ত করতে সেদিন সকালে তিন পুলিশ সদস্য সেখানে উপস্থিত হন। এ সময় অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়ান ফারুক। কথা–কাটাকাটির একপর্যায়ে ফারুক ও তার ছেলেরা পুলিশকে ‘তোরা গুন্ডা নাকি’ বলে লাঠি ও ছুরি নিয়ে আক্রমণ করে।
এ সময় পুলিশ কনস্টেবল নাজমুল ইসলামকে পিঠে ছুরিকাঘাতসহ তাদের পোশাক ছিঁড়ে অস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন অভিযুক্তরা। খবর পেয়ে থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে আহত তিন পুলিশ সদস্যকে উদ্ধার করে পরশুরাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যান।
পরে এ ঘটনায় আহত পরশুরাম মডেল থানা পুলিশের উপপরিদর্শক মুন্না দে বাদী হয়ে ফারুক ও তার দুই ছেলেকে আসামি করে একটি মামলা করেন। একই ঘটনায় ভুক্তভোগী শেফালি আক্তারও ফারুকের দুই ছেলেকে আসামি করে আরও একটি মামলা করেন।
পরশুরাম মডেল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নুরুল হাকিম বলেন, পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় করা মামলার আসামি ফারুক মজুমদারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য দুই আসামিকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
আল–মামুন