ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য (২৫) হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৩ মে) দিবাগত রাতে রাজধানীর রাজাবাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
বুধবার (১৪ মে) সকালে ডিএমপি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ–পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যার সঙ্গে জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তাররা হলেন– মো. তামিম হাওলাদার (৩০), সম্রাট মল্লিক (২৮) এবং মো. পলাশ সরদার (৩০)।
এর আগে, মঙ্গলবার (১৩ মে) রাতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্ত মঞ্চের পাশে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে নিহত হন সাম্য। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ২০১৮–১৯ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র এবং স্যার এ এফ রহমান হল শাখা ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।
জানা গেছে, সাম্য রাত ১১টা ৪৫ মিনিটের দিকে তার বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধু আশরাফুল আলম রাফি (২৫) ও মো. আব্দুল্লাহ আল বায়েজিদকে (২৫) নিয়ে মোটরসাইকেল যোগে শাহবাগ থানাধীন সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরছিলেন। পথে রমনা কালিমন্দিরের উত্তর পাশে বটগাছের কাছে পুরাতন ফোয়ারার কাছে পৌঁছালে অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জন তাদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল দিয়ে সাম্যের মোটরসাইকেলে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়।
এ নিয়ে তাদের সঙ্গে তর্কবিতর্ক শুরু হয়। একপর্যায়ে অজ্ঞাতনামারা সাম্য ও তার বন্ধুদের কিল–ঘুষি ও ইট দিয়ে আহত করে। এসময় একজন ধারালো অস্ত্র দিয়ে সাম্যের ডান পায়ের রানের পেছনে উপর্যুপরি আঘাত করে। পরে শিক্ষার্থী তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে, এ হত্যাকাণ্ড ঘিরে ছাত্রদলের পক্ষ থেকে দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়েছে।