ঢাকা মহানগর উত্তর যুবদলের সম্প্রতি ঘোষিত আহ্বায়ক কমিটির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছেন দলটির একাংশ। রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় নয়াপল্টনের সামনে এ বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।
বিক্ষোভকারীরা অভিযোগ করেন, গত ৫ ফেব্রুয়ারি ঘোষিত ৩৬ সদস্যবিশিষ্ট বর্ধিত কমিটিতে আন্দোলনে সক্রিয় নেতাদের বাদ দিয়ে অপরিচিত ও ‘হাইব্রিড’ নেতাদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এ নিয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।
সদ্য সাবেক সদস্য ঢাকা মহানগর উত্তর যুবদল বিল্লাহ হোসেন বলেন, “যারা আন্দোলনে ছিল, তাদের কমিটিতে না রেখে দলীয় ত্যাগ ও ভূমিকার তোয়াক্কা না করে নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক।”
কমিটি থেকে পদত্যাগকারী সদ্য সাবেক সদস্য কামরুল হাসান বলেন, “এই বৈষম্যমূলক কমিটি মানি না, মানব না। আন্দোলনে যারা জীবন বাজি রেখে লড়েছে, তাদের বঞ্চিত করা হয়েছে।”
বিক্ষোভে উপস্থিত যুবদল নেতা ইঞ্জিনিয়ার মো. সফিউল ইসলাম সাফি বলেন, “আমি নিজের জীবন বাজি রেখে ২৮ অক্টোবর ২০২৩ সালের পর থেকে বিএনপির ঘোষিত সব আন্দোলনে সক্রিয় ছিলাম। ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের আগ পর্যন্ত মাঠে থেকেছি। অথচ আমাকে নতুন কমিটিতে রাখা হয়নি। এটি বড় ধরনের অবিচার।”
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন যুবদল নেতা হাজি ফালান, রুবেল, সোহেল, সোহেল আহমেদ, মো. প্রিন্সসহ অনেকে। তারা দাবি করেন, ঘোষিত কমিটি বাতিল করে আন্দোলনে সক্রিয় ও ত্যাগী নেতাদের সমন্বয়ে নতুন কমিটি গঠন করতে হবে।
উল্লেখ্য, গত ৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মহানগর উত্তর যুবদলের আহ্বায়ক শরিফ উদ্দিন জুয়েল ও সদস্য সচিব সাজ্জাদুল মিরাজের নেতৃত্বে নতুন বর্ধিত কমিটি ঘোষণা করা হয়। তবে এ নিয়ে নেতাকর্মীদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে, যা আজকের বিক্ষোভে প্রকাশ পায়।
আল