ঢাকা জাতীয় স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ-সিঙ্গাপুর ম্যাচকে ঘিরে ছিলো উৎসবমুখর পরিবেশ। গ্যালারি ছিলো কানায় কানায় পূর্ণ। লাল-সবুজের পতাকায় ঢেকে গিয়েছিলো স্টেডিয়াম। তবে মাঠের খেলায় সেই উৎসবে জল ঢেলে দিয়েছে সিঙ্গাপুর। স্বাগতিক বাংলাদেশকে ২-১ গোলে হারিয়ে দিয়েছে অতিথি দলটি।
এ পরাজয়ের ফলে এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে দুই ম্যাচ শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ মাত্র ১ পয়েন্ট।
প্রথম একাদশে তিনটি পরিবর্তন এনে মাঠে নামে বাংলাদেশ। তবে ম্যাচের শুরু থেকেই এলোমেলো খেলতে থাকে হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরার শিষ্যরা। ফিফা র্যাংকিংয়ে পিছিয়ে থাকাটা মাঠের পারফরম্যান্সেও প্রতিফলিত হয়। রক্ষণাত্মক কৌশলে খেলতে গিয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ পুরোপুরি হাতছাড়া হয়।
ম্যাচে বাংলাদেশের সবচেয়ে আলোচিত পারফর্মার ছিলেন কানাডা প্রবাসী ফুটবলার শমিত সোম। তিনি প্রথমার্ধে তিন থেকে চারটি গোলের সুযোগ তৈরি করলেও, গোল আদায়ে ব্যর্থ হন সতীর্থরা। একজন ফিনিশারের অভাব স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
বিরতির ঠিক আগে, ৪৫ মিনিটে সিঙ্গাপুরের সং ইয়ং গোল করে গ্যালারি স্তব্ধ করে দেন। দ্বিতীয়ার্ধে ফিরে ৫৮ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ইকশান ফান্দি।
জোড়া গোলে পিছিয়ে পড়ার পর বাংলাদেশ আক্রমণে গতি আনে। তার ফলও মেলে। ৬৮ মিনিটে রাকিবুল ইসলামের গোলে ব্যবধান কমায় স্বাগতিকরা।
গোলের পর উৎসাহিত হয় গ্যালারিও। সমতা ফেরানোর আশায় একের পর এক আক্রমণ চালায় বাংলাদেশ। তবে শেষ পর্যন্ত গোলের সুযোগ কাজে লাগাতে না পারায় হার নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় হামজা-শমিতদের।
ম্যাচটি ড্র হলেও বাংলাদেশের সামনে সুযোগ থাকতো পরবর্তী রাউন্ডে টিকে থাকার। কারণ, গ্রুপের অন্য ম্যাচে হংকংয়ের কাছে ভারত হেরে গেছে। ফলে দুই ম্যাচ শেষে গ্রুপের শীর্ষে এখন সিঙ্গাপুর।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ ১-২ সিঙ্গাপুর
গোলদাতারা:
বাংলাদেশ – রাকিবুল ইসলাম (৬৮ মিনিট)
সিঙ্গাপুর – সং ইয়ং (৪৫ মিনিট), ইকশান ফান্দি (৫৮ মিনিট)