গাজীপুরের টঙ্গীতে খোলা নালায় পড়ে প্রাণ হারানো ফারিয়া তাসনিম ওরফে জ্যোতির (৩২) মরদেহ চুয়াডাঙ্গায় আনা হয়েছে। আত্মীয়–স্বজন ও স্থানীয়রা এক নজর দেখতে ছুটে আসেন তাদের বাড়িতে।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) রাতে চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার পুরাতন মসজিদে জানাজা শেষে পুরাতন কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন করা হয়। এ সময় মা হারা জমজ দুই সন্তানের কান্নায় আকাশ ভারী হয়ে ওঠে।
দাফনের সময় এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা ঘটে—জ্যোতির জমজ সন্তান মায়ের কবরের পাশে কান্নায় ভেঙে পড়ে।
নিহত জ্যোতি চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার বাগানপাড়ার মৃত বাবলু মেম্বারের মেয়ে। তিন ভাই বোনের মধ্যে জ্যোতি সবার ছোট।
গত রবিবার রাতে টঙ্গীর হোসেন মার্কেট এলাকায় একটি খোলা নালায় পড়ে নিখোঁজ হন জ্যোতি। ঘটনাস্থলের ওই ড্রেনের পানি গিয়ে পড়ে শালিকচূড়া বিলে। তিন দিন পর মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে শালিক চূড়া বিল থেকেই তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস ও গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কর্মীরা। তিনি একটি ওষুধ কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করতেন। টঙ্গীর ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ওষুধ বিপণনের কাজে গিয়েছিলেন।
নিহতের বড় ভাই মো. শোভন বলেন, বোনের ফোন বন্ধ পেয়ে অনেক খোঁজাখুঁজি শুরু করি। পরে সোমবার সকালে ঘটনাস্থলে এসে তাঁর ব্যবহৃত জুতা পেয়ে নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হই।
এদিকে রাতে চুয়াডাঙ্গায় দাফনের সময় জ্যোতির জমজ সন্তানদের কান্নায় উপস্থিত মানুষও আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।