১–১ গোলের সমতা নিয়ে অতিরিক্ত সময়ে খেলার প্রস্তুতি নিচ্ছিল দুই দলই। এরইমধ্যে ম্যাচের শেষ মিনিটের শেষ সময়ে ইংল্যান্ডের একটি অলস আক্রমণ চকিতে গতি পায়, আর তা থেকে দুর্দান্ত শটে গোল করেন কিছুক্ষণ আগেই বদলি হিসেবে মাঠে নামা অলি ওয়াটকিন্স।
ফলে একেবারে শেষ মুহুর্তে নেদারল্যান্ডসের হৃদয় ভেঙে ফাইনালের টিকিট কেটেছে গতবারের রানার্স–আপ ইংল্যান্ড।
বুধবার (১১ জুলাই) রাতে ডর্টমুন্ডের জিগনাল ইডুনা পার্কে নেদারল্যান্ডসকে ২–১ গোলে হারিয়েছে ইংল্যান্ড।
এদিন ম্যাচের সপ্তম মিনিটেই গোল করে দলকে এগিয়ে নেন পিএসজির ডাচ মিডফিল্ডার জাভি সিমোন্স। সতীর্থের থ্রু বল পেয়েই বক্সের সামনে থেকে ডেকলান রাইসকে পরাস্ত করে জোরালো শট নেন ২১ বছর বয়সী সিমোন্স। বল গোলরক্ষক জর্ডান পিকফোর্ডকে ফাঁকি দিয়ে গন্তব্যে চলে যায়।
তবে সমতায় ফিরতে বেশিক্ষণ সময় নেয়নি ইংল্যান্ড। তবে সেটি মূলত ইংল্যান্ডকে উপহার দেওয়ারই সামিল। বক্সের মধ্যে হ্যারি কেইনকে ফাউল করলে বিতর্কিত পেনাল্টি পায় ইংল্যান্ড। তা থেকে দলকে সমতায় ফেরান ইংলিশ অধিনায়ক।
এরপর প্রধমার্ধে দারুণ পারফর্ম করে মাঠে একচেটিয়া আধিপত্য বিস্তার করলেও এগিয়ে যাওয়া হয়ে ওঠেনি ইংল্যান্ডের। যদিও ভাগ্যের ফেরে তিনটি নিশ্চিত গোল থেকে বঞ্চিত হয় তারা। সুযোগ পেয়েছিল নেদারল্যান্ডসও, তাদেরও একটি শট পোস্টে লেগে ফিরে আসে।
তবে বিরতির পর দুই দল সমান পারফর্ম করলেও যখন অতিরিক্ত সময়ের দিকে গড়াচ্ছিল ম্যাচ, তখনই গোল করে ইংল্যান্ডকে ম্যাচ জিতিয়ে দেন ওয়াটকিন্স।
ম্যাচের ৮১তম মিনিটে কোল পালমার ও ওয়াটকিন্সকে মাঠে নামান ইংলিশ কোচ গ্যারেথ সাউথগেট। সেই ‘সুপার সাব’ পালমারের বানিয়ে দেওয়া বলে ৯০তম মিনিটের শেষ সেকেন্ডে গোল করেন এস্টন ভিলার নাম্বার ১১।
এরপর দুই মিনিট অতিরিক্ত খেলা হলেও ডাচদের আটকে রাখতে সক্ষম হয় ইংল্যান্ড। ফলে ডাচদের হৃদয় ভেঙে টানা দ্বিতীয়বারের মতো ফাইনালে উঠে যায় সাউথগেটের শিষ্যরা।
আগামী রবিবার বাংলাদেশ সময় রাত একটায় বার্লিনের অলিম্পিক স্টেডিয়ামে তিনবারের চ্যাম্পিয়ন স্পেনের বিপক্ষে প্রথম ইউরো শিরোপার সন্ধানে মাঠে নামবে থ্রি লায়ন্স।
আল / দীপ্ত সংবাদ