চুয়াডাঙ্গার নিমতলা–কুশোডাঙ্গা সড়কে ডাকাত সন্দেহে একজন গণপিটুনীর শিকার হয়েছেন। তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেছে পুলিশ। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) রাত সাড়ে ১০টার দিকে সদর উপজেলার পদ্মবিলা ইউনিয়নের কুশোডাঙ্গা গ্রামের মাঠের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। তবে ডাকাতের নাম–পরিচয় পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নিমতলা–কুশাডাঙ্গা সড়কে ৪/৫ জনের একদল ডাকাত সড়কে গাছ ফেলে ডাকাতির চেষ্টা করছিল। এ সময় কয়েকজন পথচারী ডাকাত দলের কবলে পড়েন। পথচারীরা এক হয়ে ডাকাত সদস্যদের ধাওয়া দিলে তারা পালিয়ে যায়। তবে ডাকাত সদস্যদের একজনকে পাকড়াও করেন তারা। পরে উত্তেজিত জনতা ও ডাকাতির কবলে পড়া পথচারীরা তাকে গণধোলাই দিয়ে আটকে রাখে।
পুলিশ সদস্যরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
ডাকাতির কবলে পড়া কয়েকজন জানিয়েছেন, সড়কে গাছ ফেলে কয়েকজনকে গতিরোধ করে ডাকাত সদস্যরা। তাদেরকে পাল্টা ধাওয়া দেয়া হলে সকলে পালিয়ে গেলেও একজন হোঁচট খেয়ে পড়ে গেলে তাকে আটক করা হয়। পরে পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয়।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাব্বুর রহমান জানান, ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে কয়েকজন সড়কে দাঁড়িয়েছিল। স্থানীয় জনগন গনপিটুনী দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে। তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ওসি আরও জানান, এ ঘটনায় অন্য সদস্যদের ধরতে পুলিশি অভিযান চলছে। গুরুতর আহত ব্যক্তির নাম পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, তিনি এখনো শঙ্কামুক্ত নন। তার উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন। অন্যত্র রেফার্ড করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
শায়লা/ দীপ্ত নিউজ