আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল–১–এর কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন মানবতাবিরোধী অপরাধের দুই মামলায় শেখ হাসিনা পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্না।
বুধবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুর পৌনে ১টার দিকে বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদার নেতৃত্বে ২ সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল–১–এ হাজির হয়ে তিনি নিঃশর্ত ক্ষমা চান।
ট্রাইব্যুনালে অপর সদস্য হলেন– বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
এর আগে আগ্রহ প্রকাশ করে শেখ হাসিনার মামলায় যুক্ত হওয়ার পর আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় ট্রাইব্যুনাল জেড আই খান পান্নার প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে। একই সঙ্গে তাকে দ্রুত ট্রাইব্যুনালে হাজির হতে নির্দেশ দেয়।
পরে ১০ মিনিটের মধ্যে ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে শেখ হাসিনার পক্ষে লড়বেন না বলে নিঃশর্ত ক্ষমা চান আইনজীবী জেড আই খান পান্না।
একপর্যায়ে গুমের ২ মামলায় শেখ হাসিনার পক্ষে স্টেট ডিফেন্স হিসেবে আমীর হোসেনকে নিয়োগ দেন ট্রাইব্যুনাল।
গত, ২৭ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) নিজ ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে একটি ভিডিও বার্তা প্রকাশ করে জেড আই খান পান্না ঘোষণা দেন— আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রতি শেখ হাসিনার আস্থা নেই। যে আদালতের প্রতি বঙ্গবন্ধু কন্যার আস্থা নেই, সে আদালতে তো আমি তাকে ডিফেন্ড করতে পারি না; উচিত না, অনৈতিক।
তিনি আরও জানান, রাষ্ট্র তাকে শেখ হাসিনার পক্ষে আইনজীবী হিসেবে নিয়োগ দিলেও তিনি তখনও সেই সংক্রান্ত কোনো আনুষ্ঠানিক চিঠি হাতে পাননি। চিঠি হাতে পেলেই তিনি আনুষ্ঠানিক উপায়ে পদত্যাগের বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানাবেন, না পেলে এটাই তার সিদ্ধান্ত যে তিনি ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার পক্ষে দাঁড়াবেন না।
এর আগে, গত ২৩ নভেম্বর সকালে শেখ হাসিনার পক্ষে লড়তে চেয়ে ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্না। পরে এ বিষয়ে শুনানিতে ট্রাইব্যুনাল–১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদার নেতৃত্বাধীন ৩ সদস্যের ট্রাইব্যুনাল আবেদন মঞ্জুর করে জেড আই খান পান্না‘কে স্টেট ডিফেন্স হিসেবে নিয়োগ দেন।
এসএ