ফাইনাল খেলার লক্ষ্য নিয়ে সুপার ফোরে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে আজ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ।
কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকাল সাড়ে তিনটায় শুরু হবে ম্যাচটি।
এশিয়া কাপের সুপার ফোরের প্রথম ম্যাচে ব্যাটারদের ব্যর্থতায় পাকিস্তানের কাছে ৭ উইকেটে হারে সাকিব আল হাসানের দলটি। দ্বিতীয় পর্বের শুরুটা ভালো না হওয়ায় বাকি দুই ম্যাচে ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া টাইগাররা। ফাইনালের আশা বাঁচিয়ে রাখতে হলে জয়ের বিকল্প নেই টাইগারদের।
এদিকে, প্রথম রাউন্ডে বাংলাদেশকে হারিয়ে ফুরফুরে মেজাজে আছে লঙ্কান সিংহরাও। সুপার ফোরে বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়েই মিশন শুরু হচ্ছে তাদের। ওয়ানডেতে সর্বমোট ৫২ বার মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা। এর মধ্যে লঙ্কানদের জয় ৪১টিতে এবং বাংলাদেশ জিতেছে ৯টি ম্যাচে। বাকি দুই ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়।
ঐতিহ্যগতভাবেই প্রেমাদাসার উইকেটে স্পিনাররা বেশি সুবিধা পান। এই ভেন্যুতে সর্বোচ্চ দশ উইকেটশিকারীর ভেতর কেবল তিনজন পেসার। আর সে কারণে এখানে পেসারদের দাপট দেখানোর জায়গা নেই এমনটা বললে ভুল খুব একটা হবে না।
স্পিনবান্ধব হওয়ার পাশাপাশি প্রেমাদাসার সুনাম রয়েছে ব্যাটিংবান্ধব উইকেট হিসেবে। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে ধীর হয়ে যায় এই উইকেট। সে সময় রান তোলাটা কষ্টকর হয়ে যায় ব্যাটারদের পক্ষে। পরিসংখ্যান বলছে প্রেমাদাসার স্লো আর লো উইকেটে প্রথমে ব্যাট করে সংগ্রহ করা রানের গড় ২৩২। আর দ্বিতীয় ইনিংসে ১৯১। সে কারণে টসে জিতে ব্যাটিং নেয়াটাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।
জয়ের পরিসংখ্যানটা দেখলেও পাল্লা ভারি আগে ব্যাটিং করা দলের। এখন পর্যন্ত প্রেমাদাসায় অনুষ্ঠিত হয়েছে ১৫৫টি ওয়ানডে। এর ভেতর আগে ব্যাট করে জয় এসেছে ৮৪ ম্যাচে। বিপরীতে পরে ব্যাট করে জয়ের নজির আছে ৬১টি ম্যাচে।
ব্যাটিংবান্ধব প্রেমাদাসা ৩০০ বা ততোধীক রানের সাক্ষী হয়েছে কেবল ২৩টি ম্যাচে। এর ভেতর ২০১৫ সালের পর কেবল ৫টি ম্যাচে দলীয় সংগ্রহ গিয়েছে ৩০০ এর উপরে।
এই ভেন্যুর উইকেটের কথা চিন্তা করলে টাইগাররা তাদের একাদশে একজন বেশি স্পিনার নিয়ে নামলে কিছুটা সুবিধা বেশি পাবে।
তবে এর ভেতর দুঃসংবাদও আছে সাকিবদের জন্য। কেননা প্রেমাদাসায় বাংলাদেশের ইতিহাসটা খুব একটা সুখকর নয়। এখন পর্যন্ত এই ভেন্যুতে ১১টি ম্যাচ খেলেছে লাল–সবুজের প্রতিনিধিরা। এর ভেতর একটি ম্যাচেও জয়ের দেখা মেলেনি টাইগারদের। সবগুলো ম্যাচেই হারকে সঙ্গী করে মাঠ ছাড়তে হয়েছে লাল–সবুজের প্রতিনিধিদের।
এদিকে ওপেনিং জুটিতে আসতে পারে পরিবর্তন। আশানরূপ পারফরম্যান্স না করায় নাঈম শেখকে বিশ্রাম দেওয়া হতে পারে এই ম্যাচে। তার পরিবর্তে একাদশে জায়গা করে নিতে পারেন এনামুল হক বিজয়। উদ্বোধনী জুটিতে তার সঙ্গে থাকবেন লিটন দাস।
এদিকে ব্যাটিং লাইন আপে তিনে দেখা যেতে পারে মেহেদী হাসান মিরাজকে। চার নম্বরে সাকিব আল হাসান, পাঁচে তাওহীদ হৃদয়, ছয়ে মুশফিকুর রহিম থাকবেন।
লঙ্কানদের বিপক্ষে আফিফ হোসেন সামলাবেন সাত নম্বর পজিশনটি। আট নম্বরে শামিম পাটোয়ারীর জায়গায় দলে ফিরতে পারেন শেখ মেহেদি। আর নয় দশ এবং এগারো নম্বরে দেখা যাবে তিন পেসার তাসকিন আহমেদ, হাসান মাহমুদ, এবং শরিফুল ইসলামকে।
এশিয়া কাপে এখন পর্যন্ত ১৬বার মুখোমুখি হয়েছে দুই দল। এর মধ্যে লঙ্কানদের জয় ১৩টি এবং টাইগারদের ৩টি। এশিয়া কাপে দুই দলের শেষ ছয় ম্যাচের তিনটিতে নিজেদের পক্ষে ফল আনতে পেরেছে সাকিবরা।
মোরশেদ আলম/দীপ্ত নিউজ