সারাদেশে আবারও টানা চারদিন গ্যাস সংকট দেখা দেবে বলে জানিয়েছে পেট্রোবাংলা। রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামত কাজের জন্য মহেশখালীতে অবস্থিত এক্সিলারেট এনার্জি পরিচালিত এলএনজি এফএসআরইউ (ফ্লোটিং স্টোরেজ অ্যান্ড রিগ্যাসিফিকেশন ইউনিট) থেকে আরএলএনজি সরবরাহ ৭২ ঘণ্টার জন্য বন্ধ থাকবে।
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) পেট্রোবাংলার উপ–মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) তারিকুল ইসলাম খান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) দুপুর ১২টা থেকে সোমবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুর ১২টা পর্যন্ত মহেশখালীর এলএনজি টার্মিনাল থেকে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে। এই সময়ে অপর একটি এফএসআরইউ দিয়ে দৈনিক ৫৫০–৫৬০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ অব্যাহত থাকবে। তবে সরবরাহ হ্রাস পাওয়ায় দেশের বিভিন্ন এলাকায় গ্যাসের চাপ কমে যেতে পারে।
বিজ্ঞপ্তিতে সাময়িক অসুবিধার জন্য পেট্রোবাংলা দুঃখ প্রকাশ করেছে।
এর আগে গত ১ জানুয়ারি থেকে ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত একই এলএনজি টার্মিনালের রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামত কাজের জন্য গ্যাস সরবরাহ বন্ধ ছিল। এতে সারাদেশে গ্যাস সংকট দেখা দেয়। সেই সংকট পুরোপুরি কাটিয়ে ওঠার আগেই নতুন করে মেরামতের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে, যার ফলে এই দীর্ঘ গ্যাস সংকটের আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গ্যাস সংকটের কারণে দেশের শিল্প খাত, বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং গৃহস্থালি কার্যক্রমে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। বিশেষ করে শিল্প এলাকা ও নগর এলাকাগুলোতে গ্যাসের স্বল্প চাপ আরও প্রকট হতে পারে। এর ফলে শিল্প উৎপাদনে ব্যাঘাত ঘটার পাশাপাশি বাড়িঘরের রান্নার কাজেও ভোগান্তি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গ্যাস সংকটের মধ্যে শিল্প খাতে গ্যাসের দাম দেড়গুণ বাড়ানোর প্রস্তাব ইতোমধ্যে আলোচনায় এসেছে। এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আগামী ফেব্রুয়ারিতে নেয়া হবে বলে জানা গেছে।