টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে বিষাক্ত অ্যালকোহল জাতীয় হোমিও ওষুধ ‘স্পিরিট‘ পান করে গত কয়েকদিনে পাঁচজনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় দুইজন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
কালিহাতী উপজেলার নারান্দিয়া ইউনিয়নের পালিমা বাজারের জনসেবা হোমিও ফার্মেসী থেকে শনিবার (১৮ মার্চ) রাতে অ্যালকোহল জাতীয় ‘স্পিরিট‘ পান করার পর থেকে বিভিন্ন সময়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তারা মারা যান।
নিহতরা হলেন, পালিমা গ্রামের ফারুক মিয়া (৩৫), কুচুটি গ্রামের জুলহাস মিয়া (৪২), কুচুটি গ্রামের আমছের আলী (৫০), নন্দলাল মোদক (৩৮), তারাপদ কর্মকার (৪২)।
এ ঘটনায় অসুস্থরা হলেন– বিলপালিমা গ্রামের মেহেদী ও কুচুটি গ্রামের জুয়েল। এরমধ্যে মেহেদীকে ঢাকার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আতিকুর রহমান জানান, নিহত জুলহাস, আমছের আলী, ফারুকসহ পাঁচজন শনিবার রাতে পালিমা বাসস্ট্যান্ডের জনসেবা হোমিও ফার্মেসী থেকে অ্যালকোহল জাতীয় স্পিরিট কিনে পান করে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাদেরকে ওই রাতেই টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনজন ও বাড়িতে দুইজন মারা গেছেন। মেহেদী নামে একজনকে ঢাকা একটি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
নারান্দিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুদ তালুকদার জানান, দীর্ঘদিন ধরে পালিমা বাসস্ট্যান্ডের জনসেবা হোমিও ফার্মেসী থেকে অ্যালকোহল জাতীয় স্পিরিট বেচাকেনা হয়ে আসছে। হোমিওপ্যাথির ফার্মেসীতে অবৈধ স্পিরিট বিক্রি বন্ধের জন্য জনসেবা ফার্মেসির মালিক ডা. সামাদকে আগেও নিষেধ করা হয়েছিল।
এ ঘটনার পর থেকে পালিমা বাজারের জনসেবা হোমিও ফার্মেসি বন্ধ করে দোকানের মালিক ও কর্মচারীরা পলাতক রয়েছেন।
পালিমা বাজারের জনসেবা হোমিও ফার্মেসীর মালিক ডাক্তার সামাদ জানান, তিনি কোন অবৈধ স্পিরিট বিক্রি করেন না। শুক্রবার (২৪ মার্চ) প্রথম রমজান হওয়ায় তিনি দোকান বন্ধ রেখেছেন। স্থানীয় একটি পক্ষ তাকে ফাসাতে নানা রকম ষড়যন্ত্র করছে।
এ বিষয়ে কালিহাতী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোল্লা আজিজুর রহমান জানান, স্পিরিট পান করে পর পর পাঁচজন নিহত হওয়ার ব্যাপারে তিনি কিছু জানেন না। থানায় কেউ অভিযোগও করেন নাই। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আফ/দীপ্ত সংবাদ