দ্বাদশ জাতীয় সংসদ অধিবেশন ঘনিয়ে এলেও, দেশবাসীর কাছে এখনও অজানা কারা হচ্ছে বিরোধীদল।
কারণ স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বিরোধী দলে থাকার সুযোগ থাকলেও, বিষয়টির সুরাহা হতে প্রথম অধিবেশন পর্যন্ত অপেক্ষা করতেই হচ্ছে। আর জাতীয় পার্টির বিরোধী দল হওয়ার বিষয়টিও ঝুলে রয়েছে।
৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর গঠিত হয়েছে নতুন মন্ত্রিসভা। ৩০ জানুয়ারি বসবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন। আগের বার বিরোধী দলের ভূমিকায় থাকা জাতীয় পার্টি, এবার পেয়েছে মাত্র ১১টি আসন।
অন্যদিকে ৬২টি আসন পেয়েছেন স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যরা। এমন পরিস্থিতিতে বিরোধীদলীয় নেতা ও বিরোধীদল নিয়ে ধুম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়ে সংবিধানেও পরিস্কার করে কিছু বলা হয়নি। তবে আইনজীবীরা বলছেন, স্বতন্ত্র প্রার্থীরা চাইলে বিরোধীদল হতে পারবেন।
স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন জানান, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরোধীতা করা সম্ভব নয়। তবে সংসদের অন্য সব বিষয়েই সরকারি দলের বিরোধিতা করতে প্রস্তুত তিনি।
এদিকে মাত্র ১১টি আসন পাওয়া জাতীয় পার্টির দাবি, তারাই একমাত্র বিরোধী দল।
সংখ্যায় স্বতন্ত্র প্রার্থীরা বেশি হলেও, বিরোধী দল হিসেবে জাতীয় পার্টির সম্ভাবনাই বেশি। কারণ সংসদের কার্যপ্রণালী বিধি অনুযায়ী, দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আসনে বিজয়ী দলই, বিরোধী দল হবে এবং সেই দলের প্রধান হবেন বিরোধীদলীয় নেতা।
এসএ/দীপ্ত নিউজ