ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে আহত হয়ে নাসির উদ্দিন (৪০) নামের এক ব্যক্তি মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার (২৯ মে) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নাসির উদ্দিন ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার শ্যামকুড় গ্রামের লুৎফর রহমানের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১৭ মে শনিবার রাতে মহেশপুর সীমান্তের শ্যামকুড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ঘাট এলাকায় নাসির উদ্দিনসহ কয়েকজন বাংলাদেশি সীমান্ত পার হয়ে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করছিলেন। সেসময় বিএসএফ তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এতে নাসির উদ্দিন গুরুতর আহত হন। স্বজনরা সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে গোপনে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৩ দিন পর গেল রাত দেড়টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
নাসিরের সঙ্গে থাকা অপর দুজন—পদ্মপুকুর গ্রামের বর্ডার রিপন ও অনন্তপুর গ্রামের সোহাগও পালাতে গিয়ে আহত হন। তবে তারা গোপনে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন।
শ্যামকুড় ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের পিউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম জানান, নাসিরের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হলেও পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ গুলিবিদ্ধ হওয়ার কথা প্রকাশ্যে বলেননি। স্থানীয়ভাবে বিষয়টি আড়াল করে রাখা হচ্ছে।
মহেশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, ১৩ দিন আগে শ্যামকুড় এলাকায় বিএসএফের গুলিতে নাসির আহত হয়। গতকাল রাতে তার মৃত্যু হয়। তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে মহেশপুরে দায়িত্বপ্রাপ্ত ৫৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রফিকুল আলম বলেন, বিষয়টি জানার পর আমরা ঘটনাস্থলে বিজিবি সদস্য পাঠিয়েছি। তবে পরিবারের কেউ আমাদের কাছে কোনো অভিযোগ করেনি বা গুলির বিষয়টি স্বীকার করেনি। তবে গত ১৭ তারিখে সীমান্তে একটি ঘটনা ঘটেছিল।
উল্লেখ্য, গত এপ্রিল মাসে একই সীমান্ত এলাকায় বিএসএফের গুলিতে আরও দুই বাংলাদেশি নিহত হন। ১১ এপ্রিল বাঘাডাঙ্গা গ্রামের ওয়াসিম ও ২৭ এপ্রিল গোপালপুর গ্রামের ওবাইদুর রহমান গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। দেড় মাস পার হলেও তাদের মরদেহ এখনো দেশে ফেরত আসেনি।
শাহরিয়ার আলম সোহাগ/এজে/দীপ্ত সংবাদ