ঝিনাইদহ জেলার শৈলকূপায় হানিফ (৫০) নামে এক শীর্ষ চরমপন্থী নেতাসহ ৩ জনকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টায় উপজেলার ২নং মির্জাপুর ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামের শ্মশান ঘান এলাকায় গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।
নিহত হানিফ জেলার হরিণাকুন্ডু উপজেলা দৌলতপুর ইউনিয়নের আহদনগর (ঠকপাড়া) গ্রামের বাসিন্দা। তিনি পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টির শীর্ষ ক্যাডার। নিহত অপর একজনের নাম লিটন (৩৭)। তিনি হরিণাকুন্ডু উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের উম্বাদ আলীর ছেলে। বাকি একজনের নাম–পরিচয় এখনও জানা যায়নি।
স্থানীয়রা জানান, রাত সাড়ে ৯টার দিকে রামচন্দ্রপুর মাঠে হঠাৎ গোলাগুলি শুরু হয়। গুলির শব্দ থামার পরে স্থানীয়রা সেচ খালের পাশে গিয়ে গুলিবিদ্ধ ও জখম হওয়া মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহগুলো উদ্ধার করে। ঘটনাস্থল থেকে দুটি মোটর সাইকেলও উদ্ধার করেছে পুলিশ।
এদিকে, হত্যার পর বিভিন্ন ব্যাক্তির কাছে হোয়াটসঅ্যাপে একটি ক্ষুদে বার্তা পাঠায় জাসদ গণবাহিনী। ক্ষুদে বার্তায় লিখা আছে, “এতদ্বারা ঝিনাইদা, চুয়াডাঙ্গা, মাগুরা, কুষ্টিয়া, যশোর, খুলনা, বাশির উদ্দেশ্যে জানানো যাইতেছে যে, পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টি নামধারী কুখ্যাত ডাকাত বাহিনীর শীর্ষ নেতা অসংখ্য খুন, গুম, দখলদারি, ডাকাতি, ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত হরিনাকুন্ডু নিবাসী মোঃ হানিফ তার দুই সহযোগী সহ জাসদ গণবাহিনীর সদস্যদের হাতে নিহত হয়েছেন। অত্র অঞ্চলের হানিফের সহযোগীদের শুধরে যাওয়ার নির্দেশ দেয়া হলো অন্যথায় আপনাদের একই পরিণতির মুখোমুখি হতে হবে– কালু জাসদ গণবাহিনী”
শৈলকূপা থানা ওসি মাসুম খান বলেন, “গোলাগুলির খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছায়। শৈলকূপা ও কুষ্টিয়া সদর উপজেলার সীমান্তবর্তী হওয়ায় এই এলাকাটি নির্জন। এর আগেও একই স্থানে চাঞ্চল্যকর “ফাইভ মার্ডার” হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।”
ওসি আরও জানান, বুকে ও মাথায় গুলি করে তিনজনকে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ কাজ করছে। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি বিস্তারিত জানার চেষ্টা চলছে।
এসএ