শিল্পকর্ম প্রদর্শনী বা এক্সিবিশন জেলায় এই প্রথম। মোবাইল গেমে যেখানে বাচ্চারা বুঁদ হয়ে রয়েছে সেখানে সত্যিই মেধাভিত্তিক এমন আয়োজন ব্যতিক্রমী। তাও আবার ছোট–ছোট বাচ্চাদের। এমন আয়োজনে বাচ্চারা যেমন খুশী তেমনি অবিভাবকরাও শিশুদের এমন ভিন্নধর্মী এক্সট্রা কারিকুলাম ও ইনোভেটিভ কাজে অংশ নেওয়ার সুযোগ পাওয়ায় অবিভূত।
রবিবার দিনব্যাপি শহরের চারুগৃহ শিশুস্বর্গ স্কুল প্রাঙ্গণে শিক্ষার্থীদের তৈরী নানা শিল্পকর্ম ও আঁকা ছবির প্রদর্শণ করা হয়।
প্রধান অতিথি সরকারী কেশবচন্দ্র কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ ড. বিএম রেজাউল করিম জানান, সৃষ্টিশীলতা সবসময়ই মানুষকে প্রগতিশীল করে। তাও যদি এ ধরনের সুযোগ শিশু বয়সে আসে। নিজের সুপ্ত প্রতিভা ও যোগ্যতার স্বাক্ষর নাখার সুযোগ সচরাচর দেখাই যাই না। মফস্বল শহরে তো হয়ই না। তেমন মেধা বিকাশের সুযোগ পেয়ে সবাই ঝাপিয়ে পড়েছে নানা সৃষ্টিশীল হাতের তৈরী কাজ নিয়ে।
অবিভাবক কানিজ আফরোজা বুলবুল জানান, ঝিনাইদহে এ ধরনের আয়োজন প্রথমবার। কোমলমতি ছোট ছোট শিশুদের তৈরীর নানা শিল্পকর্ম দেখে অবিভূত অবিভাবকরা। যেখানে বাচ্চারা সবসময় মোবাইলে গেম বা ক্ষতিকর বিষয়ে বুঁদ সেখানে এমন আয়োজন বার–বার বেশী, শহর গ্রাম সবস্কুলেই হওয়ার প্রয়োজন বলে মনে করেন আগত সবাই। দিনভর এই প্রদর্শনীতে শিশুদের তৈরী করা ফুল, পাঁখি, গ্রাম, শহর, আদর্শ বাড়ী, বাগান, নদীসহ নানা শিল্পকর্মের প্রদর্শণ করা হয়। এতে অংশ নিতে পেরে খুশি শিক্ষার্থীসহ অভিভাবকরা।
অংশগ্রহণকারী ফাইজান আনসারী রাজ জানান, সত্যিই ভালো লাগছে। আমরা ও আমাদের বন্ধুরা যে এতো মেধাবী তা আগে জানতাম না।
আরেক অংশগ্রহণকারী মারিয়া জানান, আমার খুবই ভালো লাগছে। সবাই কতকিছুই না নিয়ে এসেছে। নানা আয়োজন।
ঝিনাইদহ চারুগৃহ শিশুস্বর্গ স্কুল প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক আরেফিন অনু জানান, কোমলমতি শিশুদের অনেক প্রতিভা রয়েছে। পড়ার বাইরে যে তারা সুযোগ পেলে বহু সৃষ্টিশীল কাজ দেখাতে পারে এ এক্সিবিশন তার প্রমাণ।
শাহরিয়ার আলম/মোরশেদ আলম/দীপ্ত নিউজ