৯ দফা দাবী আদায়ে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে গণপদযাত্রা ও বিক্ষোভ সমাবেশে পুলিশ লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে। এসময় পুলিশের লাঠির আঘাতে ৫ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। পুলিশ ৫ ছাত্রকে আটক করেছে।
আটককৃতরা হলেন– উপজেলার ফয়লা এলাকার মোয়াজ বিন সাইফুল, আড়পাড়া এলাকার তৌসিফ মাহাবুব, আড়পাড়ার নদীপাড়া এলাকার ইশান হোসেনসহ ৫ জন।
শিক্ষার্থীরা জানায়, শুক্রবার (২ আগষ্ট) বিকেল সাড়ে ৩ টার দিকে শহরের সরকারি মাহতাবউদ্দিন কলেজ মাঠে জড়ো হতে থাকে শিক্ষার্থীরা। এসময় পুলিশ সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর লাঠিচার্জ করে। এসময় তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। পুলিশের লাঠির আঘাতে ৫ শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। পুলিশ ৫ জন সাধারণ শিক্ষার্থীকে আটক করেছে। পরে তারা শহরের নলডাঙ্গা ভ্যানস্ট্যান্ড এলাকা থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। এসময় বক্তারা আটক শিক্ষার্থীদের ১২ ঘন্টার মধ্যে মুক্তির আল্টিমেটাম দেয়।
কালীগঞ্জ থানার ওসি আবু আজিফ জানান, শিক্ষার্থীদের মিছিল করতে নিষেধ করা হয়েছিল। তারা নিষেধ না শোনায় পুলিশ ৫ জনকে হেফাজতে নিয়েছে। তাদের ব্যাপারে খোঁজখবর নিয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে শুক্রবার দুপুরে ঝিনাইদহ শহরের জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সামনে থেকে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি প্রেরণা একাত্বর চত্বরে গিয়ে সমাবেশ হয়। পরে শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে আন্দোলনকারীরা জড়ো হলে সেখান থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শহরের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে একই স্থানে গিয়ে সমাবেশে মিলিত হয়। সমাবেশে বক্তারা, তাদের দাবী মেনে না নেওয়া পর্যন্ত কর্মসূচী চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেয়। এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সংগঠনের নেত্রী শারমিন সুলতানা, তানভির হাসান ও হুসাইন বক্তব্য রাখেন।
এদিকে আন্দোলনকে ঘিরে জেলায় নাশকতা প্রতিরোধে সতর্ক অবস্থানে ছিলো পুলিশ। সকাল থেকেই জেলা শহরসহ বিভিন্ন গুরুত্বপুর্ন স্থানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। এছাড়াও শহরে প্রবেশে কড়াকড়ি অবস্থান নেয় জেলা পুলিশ।
শাহরিয়ার/ আল / দীপ্ত সংবাদ