ঝিনাইদহের সদর উপজেলায় প্রবাসীর স্ত্রীকে গলাকেটে হত্যা করা হয়েছে। এ সময় ছেলের স্ত্রীকেও গুরুতর আহত করে তারা।
শুক্রবার (২৩ মে) রাত ৩টার দিকে উপজেলার খালকুলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় দুজনকে আটক করেছে পুলিশ ।
নিহত ফাতেমা বেগম (৪৫) প্রবাসী আবেদ আলীর স্ত্রী। আহত বিথি খাতুন (১৮) আবেদ আলীর ছেলে প্রবাসী মেহেদী হাসানের স্ত্রী।
আটকরা হলেন–সদর উপজেলার গান্না ইউনিয়নের বেতাই দুর্গাপুর গ্রামের বাদল মিয়ার ছেলে সাগর হোসেন ও ছোট ঝিনাইদহ গ্রামের ফেলু সরকারের ছেলে সুশান্ত সরকার।
স্থানীয়রা জানায়, প্রবাসী আবেদ আলী দীর্ঘ ১৫ বছর যাবত দুবাই থাকেন। একপর্যায়ে তার ছেলে মেহেদীকে গত দুই বছর আগে মালয়েশিয়ায় পাঠান। এরপর থেকে আবেদ আলীর স্ত্রী ও পুত্রবধূ সদর উপজেলার গান্না ইউনিয়নের খালকোলা গ্রামে বসবাস করতেন। ওই বাড়িতে দীর্ঘদিন যাবত তারা দুজনই থাকতেন। কোন পুরুষ মানুষ ছিল না। গত বেশ কিছুদিন যাবত ওই বাড়িতে মিস্ত্রিরা নির্মাণের কাজ করছে। তাদের পারিশ্রমিকের টাকা বাকি ছিল সেই টাকাসহ বড় অঙ্কের টাকা বিদেশ থেকে আসবে জানতে পারে মিস্ত্রিরা।
শুক্রবার ভোর রাতে বাড়ির বারান্দার দেয়াল ভেঙে তারা ডাকাতির উদ্দেশ্য প্রবেশ করে। এরপর ডাকাতদের উপিস্থিতি টের পাওয়ার কারণে আবেদ আলীর স্ত্রীকে জবাই করে ও পুত্রবধূকে ধারলো অস্ত্র দিয়ে মারাত্মক ভাবে আহত করে। ডাকাতরা চলে যাওয়ার পর পুত্রবধূ আহত অবস্থায় প্রতিবেশী ওবাইদুল ইসলামের বাড়ির উঠানে গিয়ে পড়ে যান। স্থানীয়রা দেখে তাকে দ্রুত তাকে সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। এরপর তার অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেলে রেফার্ড করা হয়। এ অবস্থায় বিথির হাতে লেখা একটি চিরকূট উদ্ধার করে পুলিশ। সেখানে দুজনের নাম উল্লেখ থাকায় তাদেরকে আটক করেছে পুলিশ ।
ঝিনাইদহ সদর সার্কেল মীর আবিদুর রহমান জানান, ঘটনা শুনে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। পুত্রবধৃ বিথির হাতে লেখা চিরকুটটি উদ্ধার করা হয়েছে। তার সূত্র ধরে দুজনকে আটক করেছি।
তিনি আরও জানান, দীর্ঘদিন প্রবাসী ও তার ছেলে বাইরে থাকায় বাড়িতে কোন পুরুষ মানুষ থাকতো না। সে কারণেই ডাকাতরা এ ধরনের ঘটনা ঘটানের সাহস দেখিয়েছে। দুজনকে আটক করতে সক্ষম হয়েছি।
এজে/ঝিনাইদহ/শাহরিয়ার আলম সোহাগ