ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার ৩নং কোলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন আল আজাদের বিরুদ্ধে রাস্তার পাশের সরকারি রাস্তার গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে। তবে চেয়ারম্যানের দাবি, তিনি ঝড়ে রাস্তার উপর পড়া গাছ কাটছেন।
শুক্রবার ( ১৯ মে ) বিকেল ৪ টার দিকে কালীগঞ্জ উপজেলার কোলা ইউনিয়নের পারিয়াট গ্রাম এলাকায় রাস্তার দু’পাশের প্রায় ১০টি ইপিল–ইপিল গাছ কাটে শ্রমিকরা। ছোট–বড় মিলে প্রায় ১০টি গাছ কেটেছেন দুই দিনে। এ সময় গাছ কাটার স্থানে মোটরসাইকেলে আসেন মাসুদ নামে এক ব্যক্তি। গাছ কাটার বিষয়টি ইউএনওকে জানানো হয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানান তিনি।
তবে গাছ কাটার স্থানে ইউনিয়ন ভূমি অফিসের কোন কর্মকর্তাকে পাওয়া যায়নি। ঘটনাস্থলে সাংবাদিকের অবস্থান টের পেয়ে ইউএনওকে ফোনে গাছ কাটার বিষয়টি জানান চেয়ারম্যান। গাছ কাটতে আসা শ্রমিকরা জানায়, বৃহস্পতিবার থেকে তারা পারিয়াট এলাকায় গাছ কাটছেন। এ পর্যন্ত প্রায় ১০টি ইপিল–ইপিল গাছ কেটেছেন। চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন আল আজাদ তাদের দিয়ে গাছগুলো কাটাচ্ছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক বৃদ্ধ জানান, গত দুইদিন ধরে চেয়ারম্যানের লোকজন দাঁড়িয়ে থেকে গাছগুলো কাটাচ্ছেন। এগুলো সরকারিভাবে কাটা হচ্ছে কিনা তা তিনি জানেন না।
এ ব্যাপারে শুক্রবার বিকেল ৫ টা ৪ মিনিটে মুঠোফোনে চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন আল আজাদ জানান, বৃহস্পতিবার থেকে তিনি ঝড়ে পড়া গাছগুলো কাটছেন। ভালো গাছ একটাও কাটা হচ্ছে না। বিষয়টি ইউএনওকে শুক্রবার দুপুরে জানানো হয়েছে। কিন্ত গত দুই দিন ধরে গাছ কাটা হলেও মাত্র আধাঘন্টা আগে আপনি ইউএনওকে জানিয়েছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার ইউনিয়ন ভ‚মি কর্মকর্তাকে জানিয়েছেন। গাছ কাটার পর এগুলো নিলাম করা হবে।
কোলা ইউনিয়ন ভূমি অফিসের নায়েব শাজাহান আলী জানান, চেয়ারম্যান তাকে ফোন করে ঝড়ে পড়ে গাছ কাটার কথা জানিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার ঝড়ে পড়া গাছগুলো কাটা হচ্ছে। কিছুক্ষণ আগে গাছ কাটার স্থানে অফিস সহায়ক সুবাসকে পাঠানো হয়েছে।
কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইশরাত জাহান প্রতিবেদককে জানান, আপনি ফোন দেওয়ার কিছুক্ষণ আগে চেয়ারম্যান ফোনে গাছের ডাল কাটার ব্যাপারটি জানিয়েছেন। এর আগে তিনি এ ব্যাপারে কিছুই জানাননি। শুধু ডাল নয় কয়েকটি গাছ কাটার অনুমতি নিয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, শুধু গাছের ডাল কাটার ব্যাপারে জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে তার কাছ থেকে ব্যাখা নেওয়া হবে।
আল/দীপ্ত সংবাদ