ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে পাগলা কুকুরের কামড়ে নারী ও শিশুসহ আহত হয়েছেন অন্তত ৩০ জন। সোমবার (১৯ জুন) সকাল থেকে দুপুর সাড়ে ১২ টা পর্যন্ত রায়গ্রাম ইউনিয়ন ও পৌর এলাকার বিভিন্ন এলাকায় মানুষকে কামড়ে জখম করে কুকুরটি।
সোমবার দুপুর ২ টা পর্যন্ত ১৭ জন কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন। এছাড়াও আহত অনেকে অন্য ক্লিনিকে ভর্তি হয়েছেন। আহতদের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
এদিকে কুকুরে কামড়ানোর সংবাদে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। উপজেলার রায়গ্রাম ও পৌরসভার নিশ্চিন্তপুর, মেইনবাসস্ট্যান্ড, হেলাই, বলিদাপাড়া, আড়পাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় লাল রঙের একটি কুকুর কামড় দিয়ে আহত করে।
আহতরা হলেন– রায়গ্রাম এলাকার সুন্নি খাতুন, শিলা খাতুন, দুলাল মুন্দিয়া এলাকার আলপনা খাতুন, হেলাই গ্রামের মাহিরোন নেছা, নিশ্চিন্তপুর এলাকার ইয়াসমিন খাতুন, দিপ্তি দাস, পুর্ণিমা, সনজিৎ অধিকারী, মধুগঞ্জ বাজার এলাকার বকুল অধিকারী, ফয়লা এলাকার সেলিনা খাতুন, হেলাই গ্রামের সাজেদা খাতুন, বলিদাপাড়া এলাকার হাসিনা খাতুন, রাখি খাতুন ও নাটোপাড়া এলাকার আব্দুর রউবসহ নারী ও শিশুসহ অন্তত ৩০ জন।
কুকুরের কামড়ে আহত শিশু নিশি খাতুন জানায়, সে বাড়ির পাশে খেলা করছিল। হঠাৎ পিছন দিক থেকে এসে কুকুরটি তার ডান পায়ে কামড় দেয়। এরপর সে হাউমাউ করে চিৎকার করতে থাকে।
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ডেফলবাড়ি এলাকার রোজিনা খাতুন জানান, তিনি কালীগঞ্জ মেইন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বাসের জন্য দাঁড়িয়ে ছিলেন। হঠাৎ একটি কুকুর এসে তার ডান পায়ে কামড় দিয়ে গুরুত্বর জখম করে। এরপর সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এরপর স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য নিয়ে যায়।
কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক আজগর আলী জানান, কুকুরের কামড়ে আহতদের চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে। তবে আহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। দুইজনকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে আহতদের বিনামুল্যে ভ্যাকসিন প্রদান করা হচ্ছে।
কালীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আশরাফুল আলম কুকুরে কামড়ানোর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, কুকুরের কামড়ে আহত হওয়ার খবর জানার সঙ্গে সঙ্গে পৌরসভার পক্ষ থেকে কুকুরটিকে শনাক্ত করার জন্য কয়েকজনকে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগে ২০২২ সালের ৫ নভেম্বর কালীগঞ্জে দুই পাগলা কুকুরের কামড়ে অন্তত ৪০ জন আহত হয়।
শাহরিয়ার আল/আফ/দীপ্ত নিউজ