দীর্ঘ সময় পার হলেও থামছে না রাশিয়া–ইউক্রেন রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১১ মার্চ) রাশিয়ার দক্ষিণ–পূর্বাঞ্চলে দফায় দফায় ড্রোন হামলা করে ইউক্রেন। এতে বেশ কয়েকটি আবাসিক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে কয়েকটি রুশ বিমানবন্দরের কার্যক্রম।
এর মধ্যেই, রাশিয়া–ইউক্রেনের যুদ্ধ বন্ধে ‘শান্তি আলোচনা‘ করতে সৌদি আরব পৌঁছেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এবং ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। কিয়েভ–ওয়াশিংটন বৈঠকের আগেই সৌদি আরবের যুবরাজের সঙ্গে আলাদা আলাদা বৈঠক করেছেন এ দুই নেতা।
ইউক্রেনের সংকট সমাধানে মধ্যস্থতা করার জন্য সৌদি আরবের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন জেলেনস্কি।
অন্যদিকে রুবিও জানিয়েছেন, শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য ইউক্রেনকে কিছু ভূখণ্ড ছেড়ে দিতে হতে পারে। তবে সমাধানের জন্য কিয়েভ ও মস্কো উভয় পক্ষকেই কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
তবে, মার্কিন গণমাধ্যম এনবিসি তথ্যানুযায়ী, শান্তি আলোচনায় শুধু ইউক্রেনের খনিজ সম্পদের ভাগ নয় বরং জেলেনস্কির পদত্যাগের দাবি করতে পারেন ট্রাম্প।
ট্রাম্প তার ঘনিষ্ঠ কয়েকজন কর্মকর্তাকে জানিয়েছেন, শুধুমাত্র খনিজ সম্পদের মালিকানা ইউক্রেন যুদ্ধে মার্কিন সাহায্যের বিনিময়ে যথেষ্ট হবে না। আলোচনায় জেলেনস্কিকেই নমনীয় হতে হবে।
তবে এ আলোচনার পর ইউক্রেনে শান্তির বিষয়ে ‘উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি’ হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
এসএ