আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল, চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেছেন, জেন–জি প্রজন্ম স্বৈরাচার পতনই শুধু ঘটায়নি, দিল্লি পর্যন্ত তাড়িয়ে নিয়ে গেছে। জেন–জি ফার্মের মুরগি না, তারা আবাবিল পাখির মত।
শনিবার (২৫ অক্টোবর) রাজধানী শিল্পকলা একাডেমিতে ‘দৈনিক নয়া দিগন্ত‘ পত্রিকার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। ২১ পূর্ণ করে ২২ বছরে পদার্পণ করল দৈনিক নয়া দিগন্ত।
চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ‘জুলাই বিপ্লবে জেন–জি’র নেটওয়ার্কিং ছিল কল্পনার বাইরে। জেন–জি প্রজন্মকে আমরা বলতাম ফার্মের মুরগি, অথচ তারা আবাবিল পাখির মতো।
তিনি বলেন, ‘নতুন প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষা বুঝতে হবে। আমাদের পত্র–পত্রিকা বিগত সরকারের ভয়ের সংস্কৃতি তুলে আনতে পারেনি। এখন গণমাধ্যমের দায়িত্ব সেগুলোকে তুলে আনা, যাতে গুমের মত ঘটনা আর না ঘটে। শহীদদের কথা তুলে আনতে হবে। নয়তো আগামীর বাংলাদেশে বাস করার অধিকার আমাদের থাকবে না।’
তাজুল ইসলাম বলেন, ন্যারেটিভ তৈরিতে সংবাদপত্রের ভূমিকা বিশাল। শেখ হাসিনার ন্যারেটিভ দেশকে খাদের তলায় নিয়ে যায়। কিন্তু জেন–জি প্রজন্ম সেই অতীতের মিথ ভেঙে দিয়েছে। ১০০ বছরে এমন ঘটনা বিরল।
তিনি আরও বলেন, ‘আগে সাংবাদিকতা ছিল তোষামোদির শিল্প। প্রশ্নে জর্জরিত করার বদলে তৈলমর্দন করা হতো। হাসিনাকে জিজ্ঞেস করা হতো, কেন আপনি নোবেল প্রাইজ পাচ্ছেন না? যে কথা আমরা ইনিয়ে–বিনিয়ে বলতে চাই, তা জেন–জি প্রজন্ম স্রেফ একটা সংলাপের মধ্য দিয়ে বলে গেছে।’
এসএ