ত্বকের শত্রু হলো ব্রণ। এই শত্রু আপনার ত্বকের সৌন্দর্য নষ্ট করার জন্য একাই একশো! একে ইংরেজিতে বলে অ্যাকনে বা পিম্পল, বাংলা বলা হয় ব্রণ। প্রথমে ছোট একটি দানার মতো জন্ম নিয়ে এরপর বড় হয়, সেখানে জমতে পারে পুঁজও।
ব্রণের সমস্যায় ভুগলে অনেকেই বোঝেন না ঠিক কী আপনার করণীয় আর কোনটি কখনও করা উচিত নয়। তাই আজকে থাকছে ব্রণ থেকে সুরক্ষার কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস। তাই ব্রণ হলে দুশ্চিন্তা না করে জেনে নিন, ব্রণের সমস্যা থেকে দ্রুত মুক্তি পেতে কী করবেন, আর কোন কাজগুলো কখনই করবেন না।
করণীয়:
১। ত্বক পরিষ্কার রাখুন: মুখে ব্রণ থাকলে ত্বক দিনে অন্তত দুইবার পরিষ্কার করতে হবে। এতে ছিদ্রগুলো ভালোভাবে পরিষ্কার হয়। মুখ থেকে অতিরিক্ত সিবাম এবং ধুলা–ময়লা দূর হয়। এজন্য, মৃদু এবং প্রাকৃতিক উপাদানসহ একটি মাইল্ড ক্লিনজিং লোশন বেছে নিন।
২। সঠিক ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন: ব্রণপ্রবণ ত্বকের জন্য সঠিক ময়েশ্চারাইজার বেছে নিন। তৈলাক্ত ব্রণ প্রবণ ত্বকের ব্যক্তিদের লাইটওয়েট ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত। এতে অতিরিক্ত সিবাম উৎপাদন হয় না। এই ধরনের ময়েশ্চারাইজারগুলো আপনার ত্বককে আঠালো বা চটচটে না করেই হাইড্রেটেড রাখতে পারে।
৩। সানস্ক্রিন ব্যবহার: একটি ব্রড–স্পেকট্রাম সানস্ক্রিন ত্বককে সূর্য এবং দূষণের হাত থেকে রক্ষা করে। কিন্তু যাদের ত্বকে খুব ব্রণ হয় তারা ম্যাটিফাইং সানস্ক্রিন বা জেল–ভিত্তিক সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে পারেন। জেলভিত্তিক সানস্ক্রিন খুবই লাইটওয়েট হয়, যা আপনি আপনার মেকআপের ভিত্তি হিসেবেও ব্যবহার করতে পারেন।
৪। মেকআপ বাদ দিন: ত্বকে ব্রণ থাকলে কখনই মেকআপ ব্যবহার করতে যাবেন না। যদি অতি প্রয়োজনে মেকআপ করতে হয়ই তবে নিয়মিত মেকআপ ব্রাশ,স্পঞ্জ পরিষ্কার রাখুন। এবং অবশ্যই রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে মেকআপ তুলে মুখ পরিষ্কার রাখুন।
৫। হাতের নখ ছোট রাখুন: ব্রণের সমস্যায় ভুগলে অবশ্যই হাতের নখ ছোট রাখুন। কেননা হাতের নখের সংস্পর্শে ত্বকে ব্রণের সমস্যা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। তাই হাতের নখ সব সময় ছোট রাখুন।
৬। মুলতানি মাটি ও চন্দনের ফেসপ্যাক: পরিষ্কার ত্বকে ব্রণের ওপর মুলতানি মাটি, চন্দন ও গোলাপ জল দিয়ে তৈরি ফেসপ্যাকের প্রলেপ দিন। নিয়মিত ব্যবহারে ব্রণের সমস্যা কমতে শুরু করবে।
কী করবেন না: ব্রণের সমস্যায় কিছু উপাদান সব সময় এড়িয়ে চলার চেষ্টা করবেন। এগুলো হলো–
১। লেবু: ফেসপ্যাক তৈরিতে লেবুর রস অনেক কাজে এলেও ব্রণের সমস্যায় একে মোটেও কাজে লাগানো যাবে না। কেননা ব্রণের ত্বকে কোষ বা টিস্যুগুলো বেশ ক্ষতিগ্রস্ত অবস্থায় থাকে। এই অবস্থায় লেবুর রস প্রয়োগে ত্বক পুড়ে যাওয়া কিংবা জ্বালাপোড়া হওয়ার শঙ্কাই বেশি।
২। টুথপেস্ট: অনেকেই রূপচর্চায় টুথপেস্ট ব্যবহার করেন। ঝটপট সমাধান পেতে টুথপেস্ট কাজে আসলেও ত্বকে ব্রণ থাকলে তা কালো দাগের সৃষ্টি করে। তাই ত্বকে ব্রণ থাকলে রূপচর্চায় টুথপেস্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন।
৩। ভিটামিন ক্যাপসুল: রূপচর্চায় এখন বেশ জনপ্রিয় ভিটামিন সি, ভিটামিন ই অথবা ভিটামিন এ ব্যবহার করা। এইসব ভিটামিন ক্যাপসুল ত্বকের পুষ্টি জোগাতে কার্যকরী হলেও তরলের পরিমাণে হেরফের হলে তা ত্বকের মারাত্মক ক্ষতি করে। ব্রণ থাকলে এই সমস্যা আরও তীব্র হয়ে ওঠে।
৪। ব্রণ স্পর্শ না করা: ত্বকে ব্রণ হলেই অনেকের হাত দিয়ে ব্রণ খোঁটাখুঁটি করার অভ্যাস শুরু হয়। এ কাজচি করা যাবে না। কারণ হাত দিয়ে ব্রণ স্পর্শ করার পর ত্বকের অন্য জায়গায় স্পর্শ করলে ব্রণ সে স্থানেও ছড়িয়ে পড়ে। তাই হাত দিয়ে ব্রণ স্পর্শ এড়িয়ে চলুন।
এসএ/দীপ্ত সংবাদ