দুই দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় অভিযান চালানোর পর ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরের জেনিন ছেড়ে চলে গেছে ইসরাইলি সেনারা। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৪ জুলাই) মধ্যরাত থেকে জেনিন ক্যাম্প ছাড়তে শুরু করে তারা। খবর রয়টার্সের।
সোমবার (৩ জুলাই) ভারী অস্ত্রশস্ত্রসহ এক হাজারের বেশি সেনা শহরটিতে আসে। জেনিন ক্যাম্পে বিশাল ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে তারা মঙ্গলবার গভীররাতে আবার শহর ছাড়ে।
জেনিন ক্যাম্পে ইসরাইলিদের হামলায় ১২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। অন্যদিকে ফিলিস্তিনিদের হামলায় এক ইসরাইলি সেনাও মারা গেছেন।
বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে দুজন প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, তারা দেখেছেন রাতের আঁধারে ইসরাইলি সেনাবহর জেনিন ছেড়ে চলে যাচ্ছে। এর মধ্যদিয়ে তাদের কথিত সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান শেষ হওয়ার ইঙ্গিত পাওয়া যায়।
ইসরাইলি সেনাবাহিনীর দাবি, জেনিনে বিপুল অস্ত্র মজুদ করেছে ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা। এটা তাদের নিরাপত্তার জন্য হুমকি। আর এ হুমকি মোকাবিলার জন্যই জেনিনের শরণার্থী শিবিরে জঙ্গি অবকাঠামো ধ্বংস করতে অভিযান চালিয়েছে তারা।
ইসরাইলি সেনারা চলে যাওয়ার পর জেনিন ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া লোকজন পুনরায় ফিরতে শুরু করেছেন। ইসরাইলি সেনাদের আতঙ্কে হাজার হাজার বেসামরিক লোক জেনিন ছেড়ে পালিয়েছিলেন।
রয়টার্স জানায়, সাধারণ মানুষ রাতের বেলাতেই ফিরে এসে নিজেদের বাড়িতে যান; দেখার চেষ্টা করেন এ হামলায় তাদের বাড়ির জিনিসপত্র কতটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সেনারা জেনিন শহর ছাড়ার কিছুক্ষণ পর ইসরাইলকে লক্ষ্য করে গাজা উপত্যকা থেকে পাঁচটি রকেট ছুড়েছে ফিলিস্তিনি সেনারা। অবশ্য এসব রকেটই ধ্বংসের দাবি করেছে তেল আবিব।
আফ/দীপ্ত নিউজ