জুলাই আন্দোলন নিয়ে বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর তৈরি ডকুমেন্টারিকে ভারতীয় মিডিয়ার জন্য ‘চপেটাঘাত‘ বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিক সমিতির (কুবিসাস) প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন ও দায়িত্ব হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচকের বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের জুলাই আন্দোলনকে নিয়ে ভারতীয় মিডিয়া অনেক আজে বাজে কথা লিখে তবে আমার মনে হয় আমাদের এই প্রামাণ্য চিত্রগুলো ভারতীয় মিডিয়ার জন্য এক একটি চপেটাঘাত।
প্রেস সচিব আরও বলেন, নব্বই এর আন্দোলনে মেয়েদের সংখ্যা কম থাকলেও জুলাইয়ের আন্দোলনের অগ্রভাগে ছিল মেয়েরা। শাহবাগ দখলেও মেয়েদের ভূমিকা ছিল কি অভূতপূর্ব।
শফিকুল আলম বলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মত কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ও আন্দোলনকে নিয়ে ডকুমেন্টারি প্রকাশ করেছে। এই আন্দোলনে সবার অংশগ্রহণ আছে। একজন মানবাধিকার কর্মী বলেছে ঢাকার বাইরে কীসের আন্দোলন হয়েছে? এই ডকুমেন্টারিগুলো তার প্রমাণ।
তিনি আরও বলেন, ক্যাম্পাস সাংবাদিকতা আমরা এখনো বুঝতে পারি নাই। ক্যাম্পাস সাংবাদিকতা মানেই শোষণের শিকার। আগের সরকার সকল সিকিউরিটি ফোর্স দিয়ে আমাদের অধিকার হরণ করেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও কুবিসাসের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী বলেন, আপনাদের স্বাধীনভাবে সাংবাদিকতা করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের যে কোনো অন্যায়ের পাশাপাশি ভুলভ্রান্তিও তুলে ধরতে হবে। এমন কি আমার ভুলগুলোও তুলে ধরবেন। আমি এটাই চাই।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের ভার্চুয়াল কনফারেন্স রুমে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ–উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাসুদা কামাল এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোলাইমান।
এসএ