ঢাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র–জনতার আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার শহীদের ১৭ বছর বয়সী মেয়েকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) সন্ধ্যার পর উপজেলায় এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় অভিযুক্তরা হলেন– পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের আলগী গ্রামের মামুন মুন্সির ছেলে সাকিব মুন্সি (২১) এবং সোহাগ মুন্সির ছেলে সিফাত মুন্সি।
অভিযুক্ত সাকিব মুন্সিকে পুলিশ আটক করলেও পলাতক রয়েছে সিফাত মুন্সি। এ ঘটনায় বুধবার ভুক্তভোগী নিজে দুমকি থানায় অভিযোগ করেন। ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ভুক্তভোগীকে পটুয়াখালী সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়েছে।
ভুক্তভোগী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ঘটনার দিন সন্ধ্যার পর বাবার কবর জিয়ারত শেষে নানা বাড়িতে যাচ্ছিলেন। পথে নলদোয়ানী থেকে অভিযুক্তরা পিছু নেয়। হঠাৎ মুখ চেপে ধরে পার্শ্ববর্তী জলিল মুন্সির ভিটা বাগানে নিয়ে যায় সাকিব ও সিফাত। ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে। এমনকি তার নগ্ন ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয় তারা।
দুমকি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকির হোসেন জানান, এ ঘটনায় দুমকি থানায় একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন। একজনকে আটক করা হলেও অপর অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের অভিযান চলছে।
ইমরান/ইএ / দীপ্ত সংবাদ