দেশের ইতিহাসে মোড় ঘুরানো এক অধ্যায়। যা অবসান ঘটায় টানা প্রায় ১৬ বছরের দুঃশাসনের। পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
২০২৪ সালের ওই ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারীরা জানান, তাদের নতুন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন গেল এক বছরে অনেকেটাই বাধাগ্রস্ত হয়েছে। তবে কেউ আবারও ফ্যাসীবাদী হওয়ার চেষ্টা করলে রাজপথে নামার হুঁশিয়ারি দেন তারা।
শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে এই স্লোগান তখন ছড়িয়ে পড়ে টেকনাফ–থেকে তেঁতুলিয়া পর্যন্ত। কিশোর থেকে বৃদ্ধ, কিংবা নারী–পুরুষ। সবার একটাই চাওয়া আওয়ামী লীগের দুঃশাসন থেকে মুক্তি।
ঘটনাক্রমে অনেক কিছুই হয়ত মলিন হয়ে যাবে মানুষের স্মৃতি থেকে। কিন্তু হেলিকপ্টারে করে শেখ হাসিনার পালানোর ওই দৃশ্য হয়তো রয়ে যাবে ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে।
আন্দোলনের সূত্রপাত সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতির সংস্কার ঘিরে। ২০২৪ সালের ৫ জুন বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্তকে অবৈধ ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার পরপরই দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা এর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু করে। যা পরে সরকারবিরোধী অভ্যুত্থানে রূপ নেয়।
ওই আন্দোলনের অন্যতম রূপকার দেশের ছাত্র সমাজ। যাদের মধ্যে অন্যতম বর্তমান জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতৃবৃন্দ। তাদের কাছে প্রশ্ন ছিল এক বছরে এই অভ্যুত্থানের প্রাপ্তি কতটুকু?
নাহিদ ইসলাম জানান, জুলাই অভ্যুত্থান ব্যর্থ হয়নি।
জুলাই স্পিরিট নিয়ে ঐক্যবদ্ধ থাকলে কোন রাজনৈতিক দল এককভাবে আর শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারবে না বলেই আশা করছেন জুলাই আন্দোলনের নেতারা।