রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, জুমা হচ্ছে শ্রেষ্ঠ দিবস। জুমা নামে পবিত্র কুরআনে একটি স্বতন্ত্র সুরা নাজিল হয়েছে।
যেহেতু, সপ্তাহের নির্দিষ্ট দিন শুক্রবারে প্রাপ্তবয়স্ক মুমিন–মুসলমান একটি নির্দিষ্ট সময়ে একই স্থানে একত্রিত হয়ে জামাতের সঙ্গে সে দিনের জোহরের নামাজের পরিবর্তে এই নামাজ ফরজরূপে আদায় করে, সে জন্য এই নামাজকে ‘জুমার নামাজ’ বলা হয়।
জুমা নামাজ আদায়ের জন্য বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ শর্ত ও হুকুম রয়েছে। যে শর্ত ও হুকুম পাওয়া গেলে জুমা আদায় করতে হয়, সবার জন্যই তা জানা জরুরি।
এর মধ্যে অন্যতম হলো, জুমার নামাজ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে (জোহর নামাজের ওয়াক্তে) আদায় করতে হবে এবং জুমার নামাজের জন্য ইমাম–মুয়াজ্জিন ছাড়া কমপক্ষে দুইয়ের বেশি নামাজির উপস্থিতি আবশ্যক।
তবে কেউ যদি কোনো কারণে জুমার জামাতে উপস্থিত হতে না পারেন, সে ক্ষেত্রে তিনি জোহরের নামাজ আদায় করবেন।
হাদিসে এসেছে, ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, যে ব্যক্তি জুমার এক রাকাত পেয়ে যায়, সে ব্যক্তি যেন আর এক রাকাত পড়ে নেয়। কিন্তু যে (দ্বিতীয় রাকআতের) রুকু না পায়, সে যেন জোহরের চার রাকাত পড়ে নেয়।’ (ইবনে আবী শাইবা, ত্বাবারানী, বায়হাকী, আলবানী: ৬২১)
কোনো কারণে জুমার জামাতে অংশ নিতে না পারা ব্যক্তি যদি পরবর্তী সময়ে জোহর নামাজ আদায় করেন, তাহলে তার সঙ্গে একাধিক ব্যক্তি থাকলে তিনি জোহরের জামাত আদায় করতে পারবেন কি না?
এমন প্রশ্নের উত্তরে আলেমরা বলেন, এমন পরিস্থিতিতে জোহরের নামাজ জামাতে আদায় করা ঠিক হবে। তবে তাদের জন্য জোহরের নামাজ একাকী পড়া উত্তম। কারণ, জুমার জামাত না পেলে জোহর একাকী আদায় করা উত্তম। (কিতাবুল আসল ১/৩৬৫; আলমুহীতুল বুরহানী ২/৪৭৩; আলবাহরুর রায়েক ২/১৫৪; হাশিয়াতুত তহতাবী আলালমারাকী ২৮৪; রদ্দুল মুহতার ২/১৫৭)।
আফ/দীপ্ত নিউজ