জুনের মধ্যে পদ্মা সেতু দিয়ে ঢাকা-ভাঙ্গা রুটে ট্রেন চালুর লক্ষ্যে কাজ চলছে পুরোদমে। পদ্মা সেতুর ওপর ৩ কিলোমিটার রেল লাইন বসানোসহ এ প্রকল্পের সার্বিক কাজ শেষ হয়েছে শতকরা ৭২ ভাগ। বিশ্লেষকেরা বলছেন, সড়কের পর এবার রেল বিপ্লবের দ্বারপ্রান্তে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল।
দেশের প্রথম দ্বিতল সেতু ‘পদ্মা’। যার ওপরের অংশ দিয়ে বাস-ট্রাক ও মাঝের অংশ দিয়ে ট্রেন চলার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
তিন ভাগে হচ্ছে পদ্মাসেতুর রেল প্রকল্পের কাজ। ২৫ জানুয়ারি ২০২৩ পর্যন্ত ঢাকা-মাওয়া অংশে শতকরা ৭২ ভাগ, মাওয়া-ভাঙ্গা অংশে ৮৭ ভাগ ও ভাঙ্গা-যশোর অংশে ৭০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। এই প্রকল্পের মোট অগ্রগতি শতকরা ৭২ ভাগ। এরই মধ্যে মাওয়া-ভাঙ্গা অংশে রেল ট্রাকের ওপর পরীক্ষামূলক রেল চলছে।
বিশ্লেষকদের মতে, পদ্মাসেতু দিয়ে রেল চালু হলে দূরত্ব কমার পাশাপাশি পায়রা ও মংলা বন্দরের বাণিজ্যিক ব্যবহার বাড়বে। ঢাকা-যশোর ১৭২ কিলোমিটার রেলপথে মোট ২০টি স্টেশন থাকবে। এরমধ্যে ১৪টি নতুন ও ৬টি পুরনো।
ঢাকা-যশোর রেল সংযোগ প্রকল্পে এই রকম অসংখ্য ব্রিজ তৈরি হচ্ছে। যার ওপর দিয়ে ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার গতিতে ছুটবে ট্রেন। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ প্রবেশ করবে রেলের গতির যুগে।