মধুসূদন পাল এখন আর পৃথিবীতে নেই। তবে তার রেখে যাওয়া অসাধারণ সৃষ্টি কাঁচাগোল্লা সুনামের পাশাপাশি ঐতিহ্য বহন করছে যুগযুগ ধরে।
নাটোরের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সঙ্গে মিশে আছে কাঁচাগোল্লার নাম। নাটোর ও কাঁচাগোল্লা যেন একই সূত্রে গাঁথা। এখন সেই বিখ্যাত কাঁচাগোল্লা ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য (জিআই) হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। কাঁচাগোল্লা দেশের ১৭তম নিজস্ব জিআই পণ্য।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের পেটেন্ট শিল্প নকশা ও ট্রেড মার্কস অধিদফতরের মহাপরিচলক খোন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান স্বাক্ষরিত জিআই সনদ বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন নাটোরের জেলা প্রশাসক আবু নাছের ভূঁঞা।
জেলা প্রশাসক অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ২৯ মার্চ তৎকালীন জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ কাঁচাগোল্লাকে জিআই পণ্য হিসেবে নিবন্ধনের আবেদন করেন। আর শিল্প মন্ত্রণালয় গত ৮ আগস্ট সনদ প্রদান করে।
নাটোরের কাঁচাগোল্লা হচ্ছে দুধ দিয়ে তৈরি এক প্রকার শুকনো মিষ্টি। এটি গরুর দুধ থেকে পাওয়া ছানা থেকে তৈরি করা হয় বলে এর নাম কাঁচাগোল্লা। সাধারণত নাটোরের কাঁচাগোল্লার কোনো আকার দেওয়া হয় না। ছানার সাদা রঙ, গন্ধই বিদ্যমান থাকে এবং দানাদার শুকনো গুঁড়া অবস্থায় এটি বিক্রি করা হয়।
বলা হয়, আড়াইশো বছরের বেশি সময় আগে নাটোরে এই কাঁচাগোল্লার সৃষ্টি।
কোনো একটি দেশের নির্দিষ্ট ভূখণ্ডের মাটি, পানি, আবহাওয়া ও সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে উচ্চতা এবং সেখানকার জনগোষ্ঠীর সংস্কৃতি যদি কোনো একটি পণ্য উৎপাদনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, তাহলে সেটিকে সেই দেশের জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
দেশের প্রথম ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য (জিআই) হিসেবে নিবন্ধন পায় জামদানি। এরপর একে একে ঢাকাই মসলিন, রাজশাহীর সিল্ক, রংপুরের শতরঞ্জি, নেত্রকোনার বিজয়পুরের সাদা মাটি, দিনাজপুরের কাটারিভোগ, বাংলাদেশি কালিজিরা, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ক্ষীরশাপাতি আম, ইলিশ, বাগদা চিংড়িসহ ১৭টি পণ্য জিআই সনদ পায়।
এসএ/দীপ্ত নিউজ