বরিশালের ঐতিহ্যবাহী মৌসুমি ফল আমড়াসহ ২৪টি পণ্যকে ভৌগোলিক নির্দেশক বা জিআই পণ্যের স্বীকৃতি দিয়েছে সরকার।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) শিল্প মন্ত্রণালয়ের পেটেন্ট, শিল্প–নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর আয়োজিত বিশ্ব মেধাসম্পদ দিবস ২০২৫ এর আলোচনা সভায় এ সনদ হস্তান্তর করা হয়।
জিআই পণ্যের স্বীকৃতি সনদ হস্তান্তর করেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
সবশেষ স্বীকৃতি পাওয়া জিআই পণ্যগুলো হলো: বরিশালের আমড়া, কুমারখালীর বেডশিট, দিনাজপুরের বেদানা লিচু, মুন্সীগঞ্জের পাতক্ষীর, নওগাঁর নাকফজলি আম, টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের জামুর্কির সন্দেশ, ঢাকাই ফুটিকার্পাস তুলার বীজ ও গাছ ,নরসিংদীর লটকন, মধুপুরের আনারস, ভোলার মহিষের দুধের কাঁচা দই, মাগুরার হাজরাপুরী লিচু, সিরাজগঞ্জের গামছা, সিলেটের মনিপুরি শাড়ি, মিরপুরের কাতান শাড়ি, ঢাকাই ফুটি কার্পাস তুলা, কুমিল্লার খাদি, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছানামুখী মিষ্টি, গোপালগঞ্জের ব্রোঞ্জের গয়না, সুন্দরবনের মধু, শেরপুরের ছানার পায়েস, সিরাজগঞ্জের লুঙ্গি, গাজীপুরের কাঁঠাল, কিশোরগঞ্জের রাতাবোরো ধান, অষ্টগ্রামের পনির।
জিআই পণ্যের সনদ পেয়ে বরিশালের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন বলেন, বরিশালের আমড়ার সুখ্যাতি রয়েছে দেশজুড়ে। বরিশালের সনাতন ধর্মের বহু পুরোনো সংস্কৃতি হলো তাদের যেকোনো অনুষ্ঠানে খাবার শেষে আমড়ার টক থাকতে হবে। এটাকে তারা ‘শেষ পাত’ বলে। বরিশালের মিঠা পানির কারণে আমড়ার প্রাকৃতিক গন্ধ বিদ্যমান, স্বাদে মিষ্টি ও সুস্বাদু; যা অন্যান্য অঞ্চলের আমড়া থেকে আলাদা হয়ে থাকে।
বরিশালের আমড়া শুধু একটি সুস্বাদু ফল নয়, এটি এ অঞ্চলের ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও কৃষিভিত্তিক অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এর স্বতন্ত্র স্বাদ, পুষ্টিগুণ এবং বহুমুখী ব্যবহার বরিশালের আমড়াকে সারাদেশে পরিচিতি দিয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পাওয়ায় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে বরিশালের আমড়ার পরিচিতি ও চাহিদা বাড়বে, যা দক্ষিণাঞ্চলের কৃষি অর্থনীতিকে আরও সমৃদ্ধ করবে।”
ইএ/এজে/দীপ্ত সংবাদ