বগুড়ার গাবতলী উপজেলার সোনারায় উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের দুটি বুথে জাল ভোট দেওয়ার ঘটনায় ২ সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (৮ মে) বেলা ১২টার দিকে তাদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
অব্যাহতি পাওয়া দুই কর্মকর্তা হলেন– হাফিজার রহমান ও আব্দুল মোত্তালিব। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার এটিএম আমিনুর ইসলাম।
জানা যায়, সকাল ১০টার দিকে বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও আনারস মার্কার প্রার্থী রফি নেওয়াজ খান রবিনের ১০–১৫ জন সমর্থক উপজেলার সোনারায় উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের দ্বিতীয় তলার ৪ ও ৫ নাম্বার বুথে ঢোকেন। বুথের পোলিং এজেন্টের কাছ থেকে ব্যালট পেপার কেড়ে নিয়ে সিল মারতে থাকেন তারা।
পরে খবর পেয়ে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাদিয়া আফসানা রিমা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন এবং ব্যালট পেপারে মুড়িতে ভোটারের স্বাক্ষর না পাওয়ায় ৬টি মুড়ি জব্দ করে এবং ২ সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেন।
এ বিষয়ে কেন্দ্রের সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার হাফিজুর রহমান জাল ভোটের দায় স্বীকার করে বলেন, ‘১০–১৫ জন যুবক বুথে এসে ব্যালট পেপার কেড়ে নেয়। পরে তারা গোপন কক্ষে গিয়ে সিল মেরেছে। তাদের আমি চিনিনা। নিরুপায় হয়ে মেনে নিয়েছি।’
প্রিসাইডিং অফিসার এটিএম আমিনুর রহমান বলেন, ‘বিষয়টি আমি জানতাম না। আপনাদের কাছে খবর পেয়ে ব্যালট খুলে দেখি মুড়িতে ভোটদাতার সিল ও স্বাক্ষর নেই।’
উল্লেখ্য, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে বগুড়ার গাবতলী, সারয়াকান্দি ও সোনাতলা উপজেলা পরিষদের ভোটগ্রহণ শুরু হয় সকাল ৮টায়, যা চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।
এসএ/দীপ্ত সংবাদ