জামালপুরে হত্যা মামলায় আসামী মো: ওসমান আলীকে(৩৫) আদালতের নথিতে মৃত দেখানো হলেও ছয় বছর পর জীবিত উদ্ধার করেছে ইসলামপুর থানা পুলিশ।
বুধবার (১১অক্টোবর) রাত সাড়ে ৮ টায় পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার মো: কামরুজ্জামান এই তথ্য নিশ্চিত করে জানিয়েছেন।
ইসলামপুর উপজেলার মুন্নীয়ার চর গ্রামে মোঃ বাচ্চু ফকিরের ছেলে মো:ওসমান আলী।
সংবাদ সম্মেলন পুলিশ সুপার জানান, ২০১২ সালের ১৯ আগষ্ট মো: ওসমান আলী তার স্ত্রী লাকী বেগমের কাছে এক হাজার টাকা চাইলে স্ত্রী দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে সে সময় দুই জনের মধ্যে কথা–কাটাকাটির এক পর্যায়ে বাড়ির পাশে গোয়াল ঘরের কাছে টিউবওয়েল সামনে লাকি বেগমের পেটে উপর্যপুরী ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে।
এ ঘটনায় নিহত লাকির পিতা আব্দুর রহিম বক্স ঘটনার দুই দিন পরে বাদী হয়ে ইসলামপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।
ঘটনার পর থেকে আসামী পলাতক থাকায় পুলিশ মামলা তদন্ত করে মো: ওসমান আলীর বিরুদ্ধে ২০১৩ সালের ১০ জানুয়ারি অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে ৩০২ ধারায় আদালতে অভিযোগ পত্র দেয়। মামলা বিচারাধীন অবস্থায় আসামীর পক্ষ থেকে আদালকে জানায় ২০১৭ সালের ১০ এপ্রিল আসামী ওসমান আলী কিডনি জনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছে।
৬ বছর আগে ওসমান মৃত্যু বরণ করেছে এই তথ্য পায় পুলিশ।
এদিকে ইসলামপুর থানা পুলিশ আসামীর মৃত্যুর বিষয়টি আমলে না নিয়ে ওসমানের অবস্থান শনাক্তের জন্য গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ও তথ্য প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে, বুধবার বিকাল ৫ টার সময় ইসলামপুর থানা পুলিশের একটি অভিযানিক দল পার্শ্ববর্তী গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা থানার সীমান্তবর্তী দুর্গম যমুনা নদীর চর থেকে আসামি ওসমানকে ছয় বছর পর জীবিত আটক করে। পরে আসামিকে আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে রাতেই আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
এসময় পুলিশ সুপার আরো বলেন, ছয় বছর পর মৃত আসামীকে জীবিত উদ্ধার করে আদালতে তুলার পর মামলাটির প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এলো সেই সাথে ন্যায় ও সুষ্ঠ বিচার হবে আমরা আশা করি।
তানভীর হীরা/ আল / দীপ্ত সংবাদ