জামালপুরে বকশীগঞ্জ উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রাম পাখিমারায় গড়ে উঠেছে ঐতিহ্যবাহী জামদানী পল্লী। সারা বছর এই গ্রামে উৎপাদিত জামদানী শাড়ি শোভা পায় দেশের বিভিন্ন বিপনী বিতানে। তবে কাঁচামালের মূল্যবৃদ্ধির কারণে শাড়ির ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ কারিগরদের।
জামালপুরের বকশিগঞ্জ উপজেলার একটি গ্রামের নাম পাখিমারা। এখানকার পরিশ্রমী ব্যক্তিরা জামদানি তৈরি করে গ্রামের নাম পাল্টে দিয়েছেন। পাখিমারা থেকে এখন জামদানি পল্লি নামেই পরিচিত ছোট এই গ্রামটি।
শুরুটা ২০০৫ সালে, উদ্যোক্তা সবুজ হাসান জামদানী বুননের কাজ শুরু করেন। বর্তমানে এখানে ছোট বড় মিলিয়ে প্রায় পঞ্চাশটি কারখানা গড়ে উঠেছে।
জামদানী পল্লীর শাড়ি শোভা পাচ্ছে রাজধানীসহ দেশের স্থানে। তবে উদ্যোক্তারা বলছেন, জামদানী তৈরির সুতা থেকে শুরু করে সব ধরণের কাঁচামালের দাম বেড়ে যাওয়ায় উৎপাদন খরচও বেড়ে গেছে।
এই শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে সরকারি সহায়তা চেয়েছেন উদ্যোক্তারা। জামদানী শিল্পের সাথে জড়িতদের মান উন্নয়ন ও উৎপাদিত পণ্যের বাজারজাত করতে সরকারি প্রণোদনা এবং প্রশিক্ষণের ব্যবস্থার কথা জানান স্থানীয় জনপ্রতিনিধি।
দেশের প্রথম ভৌগোলিক নির্দেশক বা জিআই পণ্য হিসেবে ২০১৬ সালে নিবন্ধন পায় ঐতিহ্যবাহী জামদানি শাড়ি।
আল/ দীপ্ত সংবাদ