বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত দ্রুততম সময়ের মধ্যে বাতিল হতে পারে বলে জানান দলটির পক্ষে আইনজীবী সুপ্রিম কোর্টের এডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির।
সোমবার (২৬ আগষ্ট) সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গনে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান তিনি।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর বাতিল হওয়া নিবন্ধন ফিরে পেতে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে খারিজ হওয়া আপিল মামলাটি পুনরুজ্জীবিত করার পদক্ষেপ নেয়া হবে। নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত বাতিল হলে দ্রুত আইনী এই পদক্ষেপ নেয়া হবে। সেক্ষেত্রে দেশের সর্বোচ্চ আদালত ন্যায় বিচার করবেন বলে আশা প্রকাশ করেন এই আইনজীবী।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র–জনতার আন্দোলন চলাকালীন গত ১ আগস্ট জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে শেখ হাসিনার সরকার। সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ১৮(১) ধারায় জামায়াত, ছাত্রশিবিরসহ তাদের অন্যান্য অঙ্গসংগঠনকে নিষিদ্ধ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করে। তখন বিএনপিসহ দেশের গনতন্ত্রকামী রাজনৈতিক দলগুলো তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের এ সিদ্ধান্ত উদ্দেশ্যমূলক দাবী করে এর প্রতিবাদ জানায়।
এক রিট আবেদন নিষ্পত্তি করে ২০১৩ সালের ১ আগস্ট জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল ও অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেয় হাইকোর্ট। এরপর ২০১৮ সালের ৭ ডিসেম্বর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। পরবর্তীতে হাইকোর্ট রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে জামায়াতে ইসলামী। এছাড়াও তৎকালীন শাসনামলে সুপ্রিম কোর্টের ফুলকোর্ট সভায় দাঁড়িপাল্লা বিচার বিভাগের সাথে সংশ্লিষ্ট প্রতীক উল্লেখ করে এটি কোন নির্বাচনী প্রতীক হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না বলে প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছিল। জামায়াতে ইসলামীর নির্বাচনী প্রতীক ছিল দাঁড়িপাল্লা। দলটির এ প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নিয়ে বিভিন্ন সংসদ নির্বাচন ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১ ও ২০০৮ সালে দলীয় প্রার্থীগণ সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে পার্লামেন্টে ভূমিকা রাখেন।
জামায়াতের আইনজীবী শিশির মনির আজ বলেন, গত ১ আগস্ট সন্ত্রাস বিরোধী আইনের ১৮ (১) ধারার ক্ষমতা বলে জামায়াত, শিবির ও এর সকল অঙ্গ সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। নিষিদ্ধ দল ও সংগঠন হিসাবে আইনের তফসিলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
আল/ দীপ্ত সংবাদ