ফেনীতে জামায়াতের মিছিল থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট পাটকেল নিক্ষেপ ও কর্তব্য কাজে বাঁধার অভিযোগে ফেনী জেলা জামায়াতের আমীর একেএম সামছুদ্দিন সহ ১৬ জনের নামে মামলা দায়ের হয়েছে।
রবিবার (৮ অক্টোবর ) রাতে ফেনী মডেল থানার এসআই পলাশ চৌধুরী বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার আসামিরা হলেন– ফেনী জেলা আমির একেএম সামছুদ্দিন (৫৭), সেক্রেটারী মুফতি আব্দুল হান্নান (৪৩), ফেনী পৌর শাখার আমীর মো. ইলিয়াছ (৪৫), সেক্রেটারী মো. নজরুল ইসলাম (৪৫), জেলা সহ–দপ্তর সম্পাদক অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম (৫৩), ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক সানাউল্লাহ নবী (৫৫), ফেনী শহর শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আতা উল্লাহ (৩৮), ফেনী শহর শাখার যুগ্ম আহবায়ক কারী আলমগীর হোসেন (৩৪), সদর উপজেলা আমীর আব্দুর রহিম (৫২), শহর শিবির সভাপতি মো. ইমরান (২৪), জেলা শিবির সভাপতি মো. ইসমাইল (২৫), আইটি বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল রহিম (৩০), জামায়াত কর্মী আব্দুর রহিম মামুন (৪৩), মাওলানা আজিজুর রহমান (৩৭), মাষ্টার আবু বক্কর ছিদ্দিক মানিক (৪৭), মীর হোসেন (৩৮) সহ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, নেতাকর্মীরা ডিজিটাল ব্যানার নিয়ে ফেনী বড় মসজিদের সামনে থেকে সউদিয়া সুইটমিট এন্ড বিরিয়ানী হাউজ পর্যন্ত নেতাকর্মীরা মারাত্মক অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তাদের হাতে থাকা লোহার রড, কাঠের লাঠি, ইটের টুকরা সহ বিক্ষোভ মিছিল বের করে।
এ সময় আসামীদের নিক্ষিপ্ত ইটের আঘাতে এসআই পলাশ চৌধুরী, কনস্টেবল রাসেল কান্তি, ইকবাল হোসেন, ইফতেখার আহমদ আঘাত প্রাপ্ত হয়ে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহণ করেন।
আসামীগন পূর্ব পরিকল্পিতভাবে বেআইনী দেশীয় মারাত্মক অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে দাঙ্গাকারে হাতে লোহার রড, লাঠিসোটা, ইট–পাটকেল নিয়া জনসাধারনের চলাচলের রাস্তায় বিঘ্ন সৃষ্টি সহ পুলিশের কর্তব্য কাজে বাঁধা প্রদান করায় এ মামলা দায়ের করা হয়।
ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম চৌধুরী মামলা দায়ের এর তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারে পুলিশী অভিযান অব্যাহত আছে।
আবদুল্লাহ আল–মামুন/শায়লা/দীপ্ত নিউজ