জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৬তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ রবিবার (২৭ আগস্ট)।
১৯৭৬ সালের এ দিনে শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে (সাবেক পিজি হাসপাতাল) শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
কাজী নজরুল ইসলাম বাংলা সাহিত্যে বিদ্রোহী কবি হিসেবে সমধিক পরিচিত হলেও তিনি ছিলেন একাধারে কবি, সঙ্গীতজ্ঞ, ঔপন্যাসিক, গল্পকার, নাট্যকার, প্রাবন্ধিক, সাংবাদিক, চলচ্চিত্রকার, গায়ক ও অভিনেতা। তিনি বৈচিত্র্যময় অসংখ্য রাগ–রাগিণী সৃষ্টি করে বাংলা সঙ্গীতজগৎকে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করেছেন।
জাতীয় কবিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়। জাতীয় কবির মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও পেশাজীবী সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। বাংলাদেশ বেতার, বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বিভিন্ন বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল কবির মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার করবে।
কবির মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও পেশাজীবী সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে– ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদ সংলগ্ন কবির সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, ফাতেহা পাঠ, দোয়া মাহফিল এবং আলোচনাসভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। কবি নজরুল ইনস্টিটিউট এ উপলক্ষে বিকেল সাড়ে ৫টায় ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরোবরে আলোচনা সভা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: আবুল মনসুর এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। এ উপলক্ষে সকাল ৯টায় আওয়ামী লীগের উদ্যোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ প্রাঙ্গণে কবির সমাধিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন এবং ফাতেহা পাঠ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ১৩০৬ সালের ১১ জ্যৈষ্ঠ পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার ডাক নাম ‘দুখু মিয়া’। বাবার নাম কাজী ফকির আহমেদ ও মাতা জাহেদা খাতুন।
কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৬তম মৃত্যুবার্ষিকীতে তার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে এবং রূহের মাগফিরাত কামনা করে বিবৃতি দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল শুক্রবার এক বাণীতে বলা হয়– বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রাণপুরুষ, মানবতা ও সাম্যের কবি কাজী নজরুল ইসলাম তার ক্ষুরধার লেখনীর মাধ্যমে সব রকম অন্যায়, অত্যাচার, অবিচার আর জুলুমের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছেন। তার অনন্য সৃষ্টিতে সমৃদ্ধ হয়েছে বাংলা সাহিত্য। সাহিত্যের এমন কোনো শাখা নেই যেখানে কাজী নজরুল ইসলাম তার প্রতিভার স্বাক্ষর রাখেননি। তিনি জালিমের বিরুদ্ধে মজলুমকে বিদ্রোহ করার প্রেরণা জুগিয়েছেন। তার রচিত কবিতা, গান, গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ আমাদের সাহিত্য–সংস্কৃতির ভাণ্ডারকে করেছে সমৃদ্ধ। শোষণের বিরুদ্ধে আপসহীন সংগ্রাম তাকে ‘বিদ্রোহী কবি’র খ্যাতি এনে দিয়েছে। মানবপ্রেমের এক অনন্য দৃষ্টান্ত কবি কাজী নজরুল ইসলাম। মানুষকে ভালোবেসে তাদের কল্যাণে আত্মনিবেদিত হতে তার রচনা আমাদেরকে উদ্বুদ্ধ করে। তার সাহিত্যকর্ম আমাদেরকে চিরকাল স্বদেশপ্রেমে অনুপ্রাণিত করবে বলে বিশ্বাস করি।
শায়লা/দীপ্ত নিউজ