হত্যার পর জাতির পিতার দাফন নিয়েও নানা নাটকীয়তার আশ্রয় নেয় সেনা সদস্যরা। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালির কাফন দেয়া হয় রিলিফের কাপড় দিয়ে। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের সবার ফাঁসি কার্যকর না হওয়ায় হতাশ দাফনে অংশগ্রহণকারীরা।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট পরিবারের বেশিরভাগ সদস্যসহ জাতির পিতাকে হত্যা করে বিপথগামী একদল সেনা সদস্য। অন্যদের রাজধানীর বনানীতে দাফন করা হলেও বঙ্গবন্ধুর মরদেহ নেয়া হয় তাঁর জন্মস্থান গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায়।
হেলিকপ্টারে মরদেহ নেয়ার পর গোসল থেকে শুরু করে দাফন পর্যন্ত নানা ন্যাক্কারজনক কাজ করে তৎকালীন সেনা সদস্যরা। কফিন খোলা ও দাফন কার্য সম্পাদনের জন্য অল্পকিছু মানুষকে অনুমতি দেয়া হয়। অনেকটা অসহায় হয়ে ৫৭০ সাবান দিয়ে গোসল করিয়ে রিলিফের কাপড়কে কাফন বানানো হয়। এসব স্মৃতি মনে করে আজো আঁতকে ওঠেন স্থানীয়রা।
বঙ্গবন্ধুর সব খুনিদের ফাঁসি কার্যকর না হওয়ায় মনক্ষুন্ন তারা। দ্রুত বঙ্গবন্ধুর পলাতক খুনিদের দেশে ফিরিয়ে এনে ফাঁসির রায় কার্যকর করার দাবি গোপালগঞ্জবাসীর।
আল/ দীপ্ত সংবাদ